পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা চেয়ে দেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হল। অবমাননার এখানেই শেষ নয়। নাগাদের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের সাহায্য চাইল এক তরুণী। ১.২৩ মিনিটের এই ভিডিও তুলে দেওয়া হয়েছে ইউটিউবে। কোন অজ্ঞাত জায়গা থেকে এই ভিডিও তোলা হয়েছে তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। এর পিছনে চীনের হাত রয়েছে কিনা সেই সন্দেহ ক্রমশ দানা বাঁধছে।
প্রায় দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। যেখান ওই তরুণী বলে, ‘বন্ধু পাকিস্তান, প্রথমেই আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন জানাই। আমি আপনাদের জানাতে চাই নাগারাও ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। কারণ আপনারাও একই দিনে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন। দুর্ভাগ্যবশত, পাকিস্তানের মানুষ স্বাধীনতা পেলেও আমরা ভারতের দাসত্বে থেকে গিয়েছি।
আজ পর্যন্ত নাগারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নাগাদের স্বাধীনতায় আপনাদের সাহায্য চাইছি। তেরঙ্গা পতাকা জ্বালিয়ে দেওয়াই এই মুহূর্তে বুদ্ধিমানের কাজ। ’
এরপর পতাকা পুড়িয়ে ফের বক্তব্য রাখে ওই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীটি। তার সংযোজন, ‘আমরা ভারতীয় নই। ভারতে থাকতে চাই না। ১৫ আগস্টকে আমরা কালো দিন হিসাবে মনে করি। আমাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, সেনাবাহিনী আছে। কেন আমরা ভারতের গোলামি করব? আমরা স্বাধীনতা চাই। ’
বক্তব্যের শেষে মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতিকে ওই তরুণী পুঁজি করে। ভিডিওতে বলা হয়, মহাত্মা গান্ধী নাগাদের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ‘ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে নাগারা আসতে না চাইলে তাদের জোর করা হবে না। কোনও নাগাকে হত্যা করার আগে আমায় গুলি করুন। ’ এমন কথা বলেছিলেন মহাত্মা। নাগাদের ওপর হামলার কোনও অধিকার নেই ভারতের।
এদিকে বিতর্কিত এই ভিডিও নিয়ে নাগাল্যান্ড পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, তাদের কাছে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। কোথায় ভিডিও তোলা হয়েছে তা নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে নাগা পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বিদেশে ভিডিওটি তোলা হতে পারে।
চীনে ভিডিওটি শুট হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকী যে তরুণী এই বক্তব্য পেশ করে তার উচ্চারণ নাগাদের মতো নয়। ভিডিওর মধ্যে বেশ কিছ স্টিল ছবি ব্যবহার করা হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখা যায়, তলোয়ার হাতে আস্ফালন করতে। পাশাপাশি কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিত এবং শিখদের অত্যাচারের অভিযোগও তোলা হয়েছে।
<iframe width=”560″ height=”315″ src=”https://www.youtube.com/embed/y9ovvvGHlMI” frameborder=”0″ allowfullscreen></iframe>
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
