পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আসিবিএম) এবং উচ্চগতি সম্পন্ন রকেট ইঞ্জিনের উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এই প্রথম ওয়াশিংটনকে হুমকি না দিয়ে শুধু নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়ানোর হুমকি দিলেন কিম।
কেসিএনএ জানায়, প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান একাডেমির ‘কেমিক্যাল মেটেরিয়াল ইনস্টিটিউট’ পরিদর্শনকালে কিম এ নির্দেশ দেন।
এ সময় সামরিক কর্মকর্তারা তাকে আইসিবিএম এবং রকেট ইঞ্জিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
কোরীয় উপদ্বীপে সম্ভাব্য যুদ্ধকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া গত ২১ আগস্ট থেকে দশ দিনব্যাপী বার্ষিক সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে।
নিয়মিত এ অনুশীলনকে উত্তর কোরিয়া আগ্রাসনের প্রস্তুতি বলে আখ্যা দিয়েছে। এরপর দেশটির নেতা সামরিক কর্মকর্তাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন।
গত বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া দুটি পারমাণবিক ও আরও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর মধ্যে গত জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া দুটি আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
এরপর মার্কিন প্রস্তাবে বিশ্বব্যাপী কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় দেশটির বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি, যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডেও আঘাত হানতে পারবে দেশটি। এ পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিলে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে যুদ্ধে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযানের পথ ছেড়ে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্বারোপ করলে উত্তেজনা কমে আসে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফনিক্সে নিজ সমর্থকদের এক র্যালিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা আমাদের সমীহ করতে শুরু করেছেন, আমি এ ঘটনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি আরও বলেন, সম্ভবত ইতিবাচক কিছু ঘটতে পারে।
এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যাতে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প সমর্থক চীনা ও রুশ ফার্ম ও ব্যক্তিদের টার্গেট করা হয়েছে।
