পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এটা দিয়ে যেন পিকনিক করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজের সম্পদের মতো সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের যত্ন নিতে হবে। এসব অ্যাম্বুলেন্স প্রসূতি মায়েদের জন্য দেয়া হচ্ছে, তাদের প্রয়োজনেই যেন এগুলো ব্যবহার হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের বেজমেন্টে আয়োজিত এমসিআরএএইচ-অপরেশনাল প্লান এর আওতায় সংগৃহীত ‘অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ারের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন রমজান আলী, এমসিআরএইইচ’র পরিচালক ডা. মো. শরিফ প্রমুখ।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটা সময় ছিল ফতোয়াবাজরা জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধা দিত। এখন সবাই বোঝে, ছোট পরিবার সুখী পরিবার। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ মানে এই নয়, যে জনসংখ্যা অতিনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আবার দেশে বৃদ্ধ লোক বাড়বে কিন্তু কাজের লোক থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আমরা অনেক এগিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এটি প্রচার করা হচ্ছে। ১৯৭২ সালে যেখানে আমাদের প্রয়োজনের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমদানি করতে হতো, বর্তমানে ১০০টির বেশি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের ব্যর্থতা আছে, সীমাবদ্ধতা আছে। আমার ডাক্তারদের গ্রামে রাখতে পারিনি। অথচ গ্রামে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
এ সময় জানানো হয়, দেশের ২ হাজার ৯০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব বেড়েছে। তবে অ্যানেসথেশিস্টের অভাবে ৮টি কেন্দ্রে প্রসবসেবা বন্ধ রয়েছে। একটা সময় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জনসাধারণ পিল ও কনডম সংগ্রহ করলেও বর্তমানে ৬০ ভাগ মানুষ দোকান থেকে কিনেই এগুলো ব্যবহার করছে।
এ সময় মন্ত্রী ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি ৫ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালকের হাতে হস্তান্তর করেন। যেসব জেলায় অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো-গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা।
