নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমানে দেশে লক্ষাধিক কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। এরমধ্যে থেকে কমপক্ষে কয়েক হাজার কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। আছে। যা খুবই নগণ্য। অথচ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করার জন্য বেসরকারী খাতে শেয়ারবাজারের অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) বাজেট প্রস্তাবনায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এসব কথা বলেন। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এম সাইফুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র ব্যাংক নির্ভর বেসরকারী বিনিয়োগ ও পুজিঁ সঞ্চালন শেয়ারবাজারের বিকাশের প্রতিবন্ধকতা। অন্যদিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে দূর্বল করে তোলে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়ন গুণগত সম্প্রসারনের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিগত বছর গুলোতে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক কাঠামোগত এবং আইনী সংস্কার হয়েছে। তবে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেয়ারবাজারের ভূমিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল নির্ধারণ। কারন দেশের বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রযাথায় শেয়ারবাজারের অংশগ্রহণ এবং ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।
এসময় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এনবিআরের কাছে ৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে সিএসইর এমডি। এরমধ্যে অন্যতম- তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা। এছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় ৩ বছর করমুক্ত রাখা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রথম ৩ বছর শূন্য ও পরবর্তীর্তে ১০ শতাংশ হারে কর চার্জ করা, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করা, এক তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানির প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর কর মওকুফ করা, সকল প্রকার বন্ডের সুদের উপর কর অব্যাহতি করা, বন্ড লেনদেনের উপর কর অব্যাহতি, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহকে সাধারন তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় সুবিধা প্রদান করা, কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য সিএসইকে কর অব্যাহতির সুযোগ দেওয়া এবং স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে পূর্বের ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
