আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। এতে পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে টেলিগ্রাম বার্তায় এ তথ্য জানান আঞ্চলিক গভর্নর ভাচেস্লাভ গ্লাদকোভ।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বেলগ্রোদ অঞ্চলের গভর্নর মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা, শত্রুপক্ষের গোলাবর্ষণে পাঁচজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।’
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে নয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই যুদ্ধে বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে। ২০২২ সালে রাশিয়া তার প্রতিবেশি ইউক্রেনের ওপর পূর্ণ-স্কেল আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু করে।
এদিকে, চলতি বছরের গত ৬ আগস্ট ট্যাংক ও সাজোয়া যান (যুদ্ধ যান) নিয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে কুরস্কে প্রায় ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের পাশাপাশি তাদের সামরিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার দাবিও করছে। বেলগোরোদের অবস্থান কুরস্কের পাশে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির ভেতরে এই হামলাই ইউক্রেনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বলে মত বিশ্লেষকদের। শুধু তাই নয়, বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যদি রাশিয়ার ভেতরে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে তাহলে পুতিনকে শান্তি আলোচনায় বসতে হতে পারে।
যদিও কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধের পাশাপাশি ইউক্রেনের ভেতরেও হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ফলে প্রশ্ন উঠেছে শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন আসলেই রাশিয়াকে বাধ্য করতে পারবে কিনা বা রাশিয়া আলোচনায় বসতে রাজি হবে কিনা।
