চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশি থানার মতিঝরনা এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৫-৩৫ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, মাদক ব্যবসায় জড়িত ছিলেন এই দুজন।
অপরদিকে কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খোরশেদ আলম প্রকাশে কানা খোরশেদ (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন দাউদকান্দির হাসানপুর সরকারি কলেজের বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ এদের পরিচয় জানান চেষ্টা করছে। তবে ব্যাব বলছে, এরা মাদক ব্যবসায়ী। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মিনতানুর রহমান ‘বন্দুকযুদ্ধের’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে র্যাব বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে মাদকদ্রব্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। এ সময় তাদের থামার সংকেত দেয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি না থামিয়ে তারা র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়তে তাকে। নিরুপায় হয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে র্যাব। পরে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে দুজনের মরদেহ পড়ে আছে।
অপরদিকে কুমিল্লার ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে। নিহত খোরশেদ জেলার দেবীদ্বার উপজেলার গংগানগর গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি পুলিশের। মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
ওসি জানান, ‘কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় মাদকের চালান যাচ্ছে’ গোপনসূত্রে এমন খবর পেয়ে দাউদকান্দি পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের বিপরীতে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে।
রাত দেড়টার দিকে তালিকাভুক্ত ‘মাদক ব্যবসায়ী’ খোরশেদ আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকার আটক করার সময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে খোরশেদ গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকারটি ও ৮০ কেজি গাঁজা এবং দুই রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধার করা করেছে বলে দাবি পুলিশের। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেবীদ্বারসহ কুমিল্লা, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
