পপুলার২৪নিউজ,জেলা প্রতিনিধি:
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় ঝুমা আক্তার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করেছে এক যুবক।
তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কলেজছাত্রী খাদিজা আহত হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রোববার সকালে উপজেলার রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঝুমা আক্তার ওই গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থানীয় ইছামতি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
ঝুমার মা করিমা বেগম বলেন, সকালে ছোটছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে ঝুমাকে নিয়ে বের হন তিনি। পথে একই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে বাহার উদ্দিন (২২) গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঝুমাকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে ঝুমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বাহার। সম্প্রতি সে ঝুমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ঝুমা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়।’
জানা গেছে, বাহার কিছুদিন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। পরে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদির জানান, তিন বছর ধরে ঝুমাকে উত্ত্যত্ক করতো বাহার। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা জানান, ঝুমার বাম হাত ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, ঘটনার পর থেকে বাহার পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বদরুল। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
