পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদন :
দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়। ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ চুক্তিতে সই করেন।
এ চুক্তির অংশ হিসেবে ভারতের উদ্যোগে উৎক্ষেপণ হতে যাওয়া স্যাটেলাইটটিতে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করবে।
চুক্তিটির শিরোনাম এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গর্ভমেন্ট অব রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গর্ভমেন্ট অফ দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ কনসার্নিং টু অরবিট ফ্রিকোয়েন্সি কো-অর্ডিনেশন অব ‘সাউথ এশিয়া স্যাটালাইট’ প্রপোসড অ্যাট ৪৮.ই।
‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ চুক্তি সইচুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি অডিও বার্তা পাঠান।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘এ চুক্তির আওতায় ১২টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশকে উপহার দেবে ভারত।’
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এ স্যাটেলাইটের কারণে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কোনও সমস্যা হবে না। কারণ দুটি স্যাটেলাইটের অবস্থান অনেক দূরে থাকবে।’
ভারত, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন্ (আইএসআরও)-এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলসমূহে সেবা দানের জন্য আইএসআরও-এর জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (জিএসএলভি এমকে-ওও) ব্যবহার করে ১২-কু ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার্স (প্রতিটি ৩৬ মেগাহার্জ)-এর সাথে ২টন শ্রেণীর যোগাযোগ স্যাটেলাইট চালু করবে। স্যাটেলাইট সিস্টেমের আওতায় প্রস্তাবিত আবেদনটির মধ্যে রয়েছে টেলিকমিউনিকেশন, টেলি-মেডিসিন ও ইন্টার-গভর্নমেন্ট নেটওয়ার্কস, দুর্যোগ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগ, টেলিভিশন ব্রডকাস্ট এবং ডিটিএইচ টেলিভিশন সার্ভিস।
প্রত্যেকটি অংশগ্রহণকারী দেশ তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীন ব্যবহারের জন্য ৩৬ থেকে ৫৪ মেগাহার্জ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার্বক্ষণিক সেবা দানকারী ট্রান্সপোন্ডারের সুবিধা পাবে। প্রত্যেকটি দেশই বিষয়বস্তু সংযোজন ও এর ব্যবহারের জন্য দায়ী থাকবে।
২০১৪ সালে কাঠমুন্ডে অনুষ্ঠিত সার্ক সামিট চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী “ভারতের প্রতিবেশীদের জন্য উপহার” হিসেবে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেন। এই স্যাটেলাইটটি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উন্নয়ন এবং অঞ্চলটির উন্নয়নের জন্য অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বিনিময়ে ভারতের প্রতিজ্ঞার প্রতিফলন। পাকিস্তান ছাড়া সকল দক্ষিণ এশীয় দেশ সমূহ এই অনন্য পরিকল্পনার অংশ, যেটি অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের জনগণের সুবিধার জন্য একটি সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অঞ্চলটিকে এক সূত্রে গেঁথে দিবে।
