আলমগীর নিশান ; ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম :
ফটিকছড়ির ভূজপুর থানাধীন দাঁতমারা ইউনিয়নে আইরিন আক্তার নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন, মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে “পরিবার কল্যান সহকারী” FWA পদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উক্ত পদের অন্য প্রার্থী ফাহমিদা আকতার গত ১২ জুন ২০১৯ ইংরেজি তারিখে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবরে এই অভিযোগ করেন।
এছাড়াও তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক বরাবর অভিযোগের অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারি বিধি মোতাবেক ২৫ শে জুলাই ২০১৭ ইংরেজির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত দাঁতমারা ইউনিয়নের নির্দিষ্ট ইউনিট থেকে ফাহমিদা আকতার ও তাহেরা আকতার নামে ২জন FWA পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। যথা নিয়মে তারা দুজন পরীক্ষায় উত্তীর্নও হয়। কিন্তু তাদের দুজনের কারো নিয়োগ না হয়ে আইরিন আকতার নামে অন্য একজন ঐ পদে নিয়োগ লাভ করে। পরে তার সকল তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় যে, আইরিন আকতার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ইউনিটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে ভুল তথ্যের মাধ্যমে এবং আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নিয়ে ঐ পদে নিয়োগ পাই। যার জন্য বিধি অনুযায়ী অংশ গ্রহনকারী ২জন চাকরী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
এ ব্যাপারে ফাহমিদা ও তাহেরা আকতার তথ্য গোপন ও অসত্য তথ্য দিয়ে নিয়োগ পাওয়া আইরিন আকতারের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১৭ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানান।
এদিকে এ ব্যাপারে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বলেন, সু-নির্দিষ্ট ভাবে নাম উল্লেখ করে যদি অভিযোগ আসে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। আর যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করা হবে।
তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্যের বিষয়ে আইরিন আকতারের স্বামী মাষ্টার তহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সব সঠিক তথ্য জমা দিয়ে আমার স্ত্রী পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে নিয়োগ পেয়েছে। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে আমি ঐ তথ্যগুলো সাবমিট করব।