পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
মালয়েশীয় এক তরুণী এবার প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন। ওই তরুণীর নাম জুলিজা বিনতে কামিস (২২)। শুক্রবার ভোরে তার প্রেমিক মনিরুল ইসলাম তাকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিয়ে আসেন। শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশীয় ঐ তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইমান আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামের পরিচয় হয়। মনিরুল সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানেই মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী জুলিজা বিনতে কাসিম মনিরুলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মনিরুল তার প্রস্তাবে রাজি হন। পরে জুলিজা প্রেমের বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রেখে বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসেন। জুলিজা ১৭ দিনের জন্য এসেছেন।
জুলিজা বিমানবন্দরে নামার আগে থেকেই প্রেমিক মনিরুল, মা মনোয়ারা ও নানা আমজাদ আলী অপেক্ষা করছিলেন। শুক্রবার ভোরে তাকে নিয়ে মনিরুল সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মামা নওশের শিকদারের বাড়িতে ওঠেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে উত্সুক মানুষ ভিড় জমায়।
সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। এ সময় জুলিজা জানান, প্রেমের টানে তিনি বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। মনিরুলকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। তাকে বিয়ে করতে পেরে তিনি খুব খুশি। এদেশের প্রকৃতি ও মানুষকে তার খুব ভালো লেগেছে। খাবার খেতে তার কিছুটা সমস্যা হলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ। তিনি আরও জানান, দেশে ফিরে তিনি বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানাবেন এবং মনিরুলকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবেন।
এদিকে মনিরুল জানান, তিনিও জুলিজাকে পেয়ে খুব আনন্দিত। তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি জুলিজা তার ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে আসবে। জুলিজা খুবই সহজ-সরল ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। মনিরুলের মা মনোয়ারা বেগম জানান, বিদেশি মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে তিনি খুশি।
