পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক :
১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের সময় কিশোরীর সঙ্গে নিজের ছবিও তোলেন। সেই ছবি দেখেই তাঁকে শনাক্ত করে পুলিশ। এ অপরাধে ৫১ বছর বয়সী সাবেক ওই সেনাসদস্যকে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোর হাইকোর্ট এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তির নাম ডেভিড ওয়ার্নহাম। তাঁর নাম অনির্দিষ্টকালের জন্য যৌন অপরাধীর তালিকায় উঠেছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক ডেভিড যুক্তরাজ্যের হেলেনসবোরার বাসিন্দা। তিনি কলিনস নামেও পরিচিত। ওই কিশোরীকে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘যৌন নির্যাতন’ করেছিলেন ডেভিড। যৌন নির্যাতন ও অশালীন ছবি তোলার অভিযোগে তাঁর বিচার হয়।
আদালতে ওই কিশোরী নির্যাতনের বিবরণ দেয়। কোনো বিষয় শেখার ব্যাপারে তার সমস্যা হতো এবং যৌনতা সম্পর্কে কোনো ধারণা তার ছিল না। একটি দাতব্য বিক্রয়কেন্দ্রে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল ডেভিডের। পরে বিভিন্ন খেলনা উপহার দিয়ে তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি।
ধর্ষণের ঘটনার পর এক আত্মীয়ের কাছে তা খুলে বলে ওই কিশোরী। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে, ডেভিডের বাড়ি তল্লাশি করে। এ সময় প্রাথমিকভাবে শিশুদের ৩১১টি অশালীন ছবি পাওয়া যায়। তাঁর কম্পিউটারে রাখা একটি ফোল্ডারে পাওয়া যায় ওই কিশোরীর ৫৬৫টি ছবি। এমনকি তাকে ধর্ষণ করার সময়কার কিছু ছবিও সেখানে ছিল। ছবিতে শরীরের ট্যাটু দেখে ডেভিডকে শনাক্ত করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ার পর ডেভিডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা। মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারক বলেন, একজন কিশোরীকে যৌন নির্যাতন করার অপরাধে অভিযুক্তকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পরই রক্ষা পাচ্ছেন না ডেভিড। মুক্তির পর আরও তিন বছর তাঁকে নজরদারিতে রাখা হবে।
