নুর উদ্দিন, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আলোচিত শিক্ষার্থী রুবেল হত্যা মামলায় এক বাবা ও তার দুই ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের মৃত জোয়াহের আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তার দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়া। এছাড়া এই ঘটনায় মীর্জা মশ্রব আলী, নাছির উদ্দিন খান, শায়েস্তা মিয়া ও বাবুল মিয়াকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় এই আদেশ প্রদান করেন সুনামগঞ্জের দায়রা ও জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ আগস্ট রাতে তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের রনজিৎ পুরকায়স্থের পুত্র রুবেল পুরকায়স্থকে পড়ার টেবিল থেকে কাজের কথা বলে বাড়ীর বাহিরে নিয়ে যায় প্রতিবেশি মীর্জা হাছন আলীর ছেলে নোমান মিয়া। মধ্যরাত হওয়ার পরও ছেলে না আসায় ঘুমিয়ে পড়ে রনজিৎ ও তাঁর স্ত্রী। রাত ২ টায় চোর অপবাদ দিয়ে দারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে প্রতিবেশি আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তার দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়া। এ সময় রুবেলের চিৎকার শুনে রনজিৎ ও স্ত্রী উষারাণী সহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাহিরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরদিন চিকসা গ্রামের মৃত জোয়াহের আলীর পুত্র মীর্জা হাছন আলী ও তার দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়াসহ ৭ জনকে আসামি করে নিহত রুবেলের পিতা রনজিৎ বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মীর্জা হাছন আলী ও তাঁর দুই পুত্র নোমান মিয়া ও কালা মিয়ার বিরুদ্ধে জার্জশীট দাখিল করে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহন ও শুনানী শেষে সোমবার দন্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। এসময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এডিশনাল পি.পি সোহেল আহমদ সইল মিয়া, বাদী পক্ষের আইনজীবী রবিউল লেইস ও আসামী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জামিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
