জয়পুরহাটে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

জেলা প্রতিনিধি,পপুলার২৪নিউজ: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের সাকিব হোসেনের সাথে (২২) প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে নবম শ্রেণির (১৪) এক ছাত্রীর। টানা চার বছরের সেই সর্ম্পকর পরে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির মা বাদি হয়ে থানায় সাকিব হোসেন ও তার বড় ভাই রাসেল হোসেন (৩০) নামে অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় সাকিব এখন জেলে। আর মেয়েটি কিছুদিন তার পরিবারের লোকজনের কাছে থাকার পর কৌশলে পালিয়ে ফের সাকিবের বাড়িতে উঠে অবস্থান নিয়েছে। মেয়েটির দাবি সে সাকিবকে বিয়ে করেছে সে তার স্বামীর বাড়িতেই থাকতে চায়। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণ মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাবার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামে। সে ওই এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার নানীর বাড়ি ছিল আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াইর পশ্চিম পাড়া গ্রামে। এক সময় ওই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটায় মেয়েটি কোচিং সেন্টারে যাওয়ার সময় সাকিব ও তার বড় ভাই রাসেল সহ ৪-৫ জন মিলে জোর করে একটি মোটরসাইকেলে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়। এর পর মেয়েটির মা বাদি হয়ে সাকিব ও তার বড় ভাই রাসেলসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট সদর থানায় একটি অপহরনের মামলা দায়ের করেন।

এর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার গাজিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি ও সাকিবকে আদালতে হাজির করলে মেয়েটি ম্যাজিষ্ট্রেডের কাছে জবানবন্দীতে স্বীকার করে ,সে স্বেচ্ছায় সাকিবের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল এবং তারা বিয়ে করেছে, মেয়েটি তার বাবা মার কাছে থাকতে চায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাতে মেয়েটি তার মামার বাড়ি থেকে পালিয়ে সাকিবের বাড়িতে গিয়ে উঠে অবস্থান নেয়।

সাকিবের বড়ভাই রাসেল হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে মেয়েটির প্রেমের সর্ম্পক ছিল ঠিকই। সেই সুবাদে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির মা আমার ও আবার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা করে। ওই ঘটনায় আমার ছোট ভাই এখন জেলে। মেয়েটি আবারও তার মামার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে আমাদের বাড়িতে এসে উঠেছে। সে আমাদের বাড়ি থেকে যাচ্ছে না। বা কেউ তাকে নিতেও আসছে না। এখন কি করব বুঝতেও পারছি না।

এব্যপারে মেয়েটি বলেন, আমার সাথে সাকিবের চার বছর ধরে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। আক্কেলপুরে নানীর বাড়িতে আসা যাওয়ার সময় আমাদের মাঝে সর্ম্পক তৈরি হয়েছিল। আমাকে আমার মামার বাড়িতে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছিল। সেখান থেকে আমি পালিয়ে সাকিবের বাড়িতে উঠেছি। আমি সাকিবকে ছাড়া বাঁচব না, সে আমার স্বামী আমি স্বামীর বাড়িতেই থাকতে চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাগুরায় তিন বছরের কন্যাকে হত্যা করল মা
পরবর্তী নিবন্ধফকির মজনু শাহ হলেন শ্যামল মাওলা