নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলিস্তানে জেনারেল পোষ্ট অফিস (জিপিও) ভেঙ্গে গ্রিন পার্ক করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তবে আগারগাঁওয়ে ১৬ তলা বিশিষ্ট নতুন জিপিও ভবন স্থানান্তরিত হওয়ার পরে গ্রিন পার্কটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ১৬ তলা বিশিষ্ট নতুন জিপিও ভবন করা হয়েছে। গুলিস্তান থেকে আগারগাঁওয়ে দ্রুতই স্থানান্তরিত হবে। স্থানান্তর হয়ে গেলে জিপিও ভবনটা ভেঙে সেখানে গ্রিন পার্ক করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জিপিওর নতুন ভবন হয়েছে আগারগাঁওয়ে। এটা হবে দেশের নতুন জিপিও। পুরাতন জিপিওর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আইডিয়া হলো এখানে সুন্দর জায়গায় আছে, শহরের কেন্দ্রে- এটাকে গ্রিন পার্ক বানানো হবে। যেখানে আমাদের নাগরিকেরা অবসর সময় পার করবেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবো। কবে হবে কতটাকা প্রয়োজন হবে সেটা আমরা পর্যালোচনা করবো। এসময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও নির্দেশনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সব মহাসড়কে স্লো মুভিং ভেহিকেল (রিকশা, ঠেলাগাড়ি) যাতে সম্মানের সাথে, নিরাপদে চলতে পারে, তার ব্যবস্থা রাখা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন, দেশের সব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই অ লের কলেজগুলো অধিভুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ হাজার, ৬০ হাজার শিক্ষার্থী।
উনি বলেছেন, এটা কীভাবে হতে পারে! এটা হয় নাকি কোথাও! শিক্ষার্থীরা আসছেই, ভর্তি হচ্ছেই, দে আর সুড বি লিমিট। শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ঠিক করবেন, কতজন শিক্ষার্থী হতে পারে। ছাত্রছাত্রী বাড়ানো যাবে না। আনলিমিটেড নাম্বার স্টুডেন্ট নট অ্যালাউড।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. দীপু মনি এ বিষয়ে কাজ করবেন বলেও জানান এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যেসব নতুন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বানাচ্ছি। আশা করি, সুনামগঞ্জে নতুন একটা বিশ্ববিদ্যালয় হবে অচিরেই। ধরুন হলো, এর আওতায় যে কয়েকটি সরকারি কলেজ আছে, এর সঙ্গে অধিভুক্ত হয়ে যাবে। সরকারি কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির অংশ হয়ে যাবে। যেমন ঢাকায় আছে। এটা সারাদেশেই করা হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার প্রচুর পরিমাণে করার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভায় রাজধানীর তিতুমীর কলেজের মাঠ নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে। এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হলো তিতুমীর কলেজের মাঠ, মাঠই থাকবে। মাঠ যেন কেউ নিতে না পারে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান গবেষণার জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যায়ন করা নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সোনাদিয়া দ্বীপে ন্যাচারাল পার্ক করা, কক্সবাজারে সি একোরিয়াম করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
