স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলেনার ত্রিফলা ‘এমএনএস’ ত্রয়ীকে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি, ব্রাজিলিয়ান নেইমার এবং উরুগুইয়ান লুইস সুয়ারেজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমান আগ্রহ ভক্ত-সমর্থকদের। ব্যক্তিগত জীবনে তারা কি করে, কাদের সঙ্গে চলাফেরা উঠা-বসা সবই আগ্রহের তালিকায় রয়েছে। তেমনিভাবে এই ত্রয়ীর বান্ধবীরাও কিন্তু আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সকলের।
নতুন বছরে ‘এমএসএন’ত্রিফলার ঝলক দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বার্সেলোনা-ভক্তরা। মাঠের বাইরে মেসি, নেইমার এবং সুয়ারেজের বান্ধবী এবং স্ত্রী’দের নিয়েও সমানভাবে আগ্রহী সংবাদমাধ্যম।
আর এ তিন তারকার বান্ধবীদের জনপ্রিয়তার দৌড়ে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে মেসির প্রেমিকা আন্তোনেল্লা। বার্সার জার্সিতে দুই পুত্র থিয়াগো এবং মাতেও’কে নিয়ে প্রায়শই তাকে দেখা যায় ন্যু ক্যাম্প গ্যালারিতে। তবে চলতি বছরে তার ও মেসির আনুষ্ঠানিক বিয়ের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ২৮ বছরের আন্তোনেল্লাকে নিয়ে মিডিয়ার আকর্ষণ বেড়ে গিয়েছে।
রোজারিওতে থাকার সময় ১৯৯৬ সালে মেসির সঙ্গে প্রথম পরিচয় আন্তোনেল্লার। ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ গভীর হতে থাকে। ২০০৯ সালে মেসির জন্য স্পেনে চলে আসেন পুষ্টিবিজ্ঞানের ছাত্রী, আর্জেন্টিনার প্রাক্তন জনপ্রিয় মডেল আন্তোনেল্লা। যার সম্পর্কে মেসি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আন্তোনেল্লাই আমার জীবনের প্রেরণা।’ গত বছর স্পনেরে এক পত্রিকার সমীক্ষা জানিয়েছিল, ন্যু ক্যাম্পে জনপ্রিয়তায় মেসি-আন্তোনেল্লা জুটি পিছনে ফেলে দিয়েছে সতীর্থ জেরার্দো পিকে-শাকিরা জুটিকেও।
ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের বান্ধবী ব্রুনার সঙ্গে বার্সা-জনতার প্রথম পরিচয় ২০১৩ সালে। স্যান্তোষ ছেড়ে নেইমার বার্সায় সই করার সময় ২২ বছরের এই ব্রাজিলিয়ান অখিনেত্রী ও মডেলকে দেখা গিয়েছিল।
মাঝে নেইমার এবং ব্রুনার সম্পর্কে সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। গত বছর রিও অলিম্পিকে ফুটবলে সোনা জিতে গ্যালারিতে ব্রুনার সঙ্গে উৎসবে মেতেছিলেন নেইমার। সম্প্রতি ফের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে দু’জনের। ব্রাজিল মিডিয়ার খবর, চলতি বছরে তারা বিয়ে করতে পারেন।
বার্সার তৃতীয় ফলা সুয়ারেজের স্ত্রী সোফিয়া বালবি আবার সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। ২০০১ সালে সুয়ারেজের সঙ্গে পরিচয় সোফিয়ার। এখনকার বার্সা তারকা তখন রাস্তা সাফাইয়ের কাজ করতেন। ২০০৯ সালে বিয়ে। দুই সন্তানের মা সোফিয়ার কথায়, ‘ওদের ভাল রাখাই আমার কাজ। প্রচারের আলোয় থাকাটা পছন্দ করি না।’
