নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ-বিনন্দপুর সড়কের বটেরখাল নদীর তীরবর্তী কাঁচারবাড়ি নামক স্থানে ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যায়। ভাঙনে চরম দূর্ভোগে পড়েন এলাকার অন্তত ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। মানুষের এ দীর্ঘ ভূগান্তি থেকে রক্ষায় কোন জনপ্রতিনিধি এগিয়ে না আসায় ভাঙনে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা।
দশঘর, গোবিন্দনগর, ভটেরগাঁও, হরিনগর, হাওলী, শ্যামনগর, কৃঞ্চনগর, মালিকান্দি, বিশ্বম্ভরপুর, লক্ষীপুর, বিনন্দপুর, একানিধা সিংগুয়া, বিলপারসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে যাতায়াতের দূর্ভোগে ছিলেন এলাকার মানুষজন। দূর্ভোগ থেকে কিছুটা রেহাই পেতে ভাঙনে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করায় এলাকার মানুষজন পারাপারে পেয়েছেন কিছুটা ভরসা।
বাঁশের সাঁকো নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা স্থানীয় গোবিন্দনগর গ্রামের ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ভাঙনের ফলে এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েন। ওয়ার্ড মেম্বার থেকে শুরু করে স্থানীয় সংসদ সদস্য পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন মেরামতে এগিয়ে আসেননি। যাতায়াতের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সাবেক মেম্বার শামছুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবদুল মুহিত শাকিল ও মকবুল হোসেনের সহযোগিতা নিয়ে ভাঙনে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়ী সাঁকো তৈরির অন্যতম উদ্যোক্তা আবদুল মুহিত শাকিল বলেন, বাঁশের সাঁকোটি প্রায় ৫শ’ ফুট দৈর্ঘ্য। স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে।
সাবেক মেম্বার শামছুল ইসলাম বলেন, ৮জন শ্রমিক নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাড়ে ৪শ’ বাঁশ সংগ্রহ করে প্রায় ৫শত ফুট দীর্ঘ সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।
দশঘর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক রেজ্জাদ আহমেদ বলেন, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় কাঁচারবাড়ি নামক স্থানে প্রায় ৫শত ফুট দীর্ঘ ভাঙনের সৃষ্টি হয়। সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়ায় মানুষজন এ বর্ষায় যাতায়াত করতে পারছেন। সড়কের ভাঙন মেরামতের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
