নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি,পপুলার২৪নিউজ:
ছাতকে প্রতারনার মাধ্যমে উত্তারধীকারী সনদে প্রবাসী দু’ভাই-বোনের নাম বাদ দিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে ভূমি আত্মসাৎ করার জন্য বাটোয়ারা দলিল করার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রতারনা করেছেন উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের বাগইন গ্রামের মৃত হাজী সুলতান মিয়ার পুত্র হাজী সুনু মিয়া।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাগইন গ্রামের মৃত হাজী সুলতান মিয়ার ৩ পুত্র ও ৩ কন্যার মধ্যে সেলিম আহমদ, আজাদ মিয়া, নুর জাহান বেগম ও লিপি বেগম যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে। দেশে থাকা আফিয়া বেগম বিবাহ সুত্রে দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের চৌকা গ্রামে বসবাস করছেন। বাড়িতে একা থাকার সুবাদে পরিবারের একমাত্র হাজী সুনু মিয়া পৈত্রিক সহায়-সম্পদ দেখা-শোনা ও ভোগ-দখল করে আসছেন। ২৭ আগষ্ট সম্পাদিত বাটোয়ারা দলিল (নং-৩২৬২/১৭) অনুযায়ী ১৭.৫৬ একর ভু-সম্পদের মধ্যে ১০.৬৮ একর ভুমি হাজী সুনু মিয়া নিজের নামে রেখে বাকী ৬.৯২ একর ভুমি আজাদ মিয়া, আফিয়া বেগম ও নূরজাহান বেগমের নামে দেখানো হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী আফিয়া বেগম ও নুর জাহান বেগম পান ১.৯২ একর করে ভূমি। কিন্তু সুনু মিয়া প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বাটোয়ারা দলিলে প্রতি বোনকে ০.৭২ একর করে ভূমি কম দিয়েছেন। বাটোয়ারা এ দলিলকে পাকাপাকি করার উদ্দেশ্যে ১০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী সেলিম আহমদ ও বোন লিপি বেগমকে বাদ দিয়ে ৪ জনের নামে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে একটি উত্তারাধীকার সনদ নেন হাজী সুনু মিয়া। এ ব্যাপারে সম্পদ বঞ্চিত প্রবাসী সেলিম আহমদ ও লিপি বেগম দুতাবাসের মাধ্যমে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ উত্তরাধীকার সনদের বিষয়ে জানান, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মিলন ধরের তদন্ত ও সুপারিশে উত্তরাধীকার সনদ প্রদান করা হয়েছে। সনদ প্রদানের পর জানা গেছে হাজী সুলতান মিয়ার আরো এক পুত্র ও কন্যা যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
সুনু মিয়ার আপন বোন আফিয়া বেগম জানান, আপন ভাই হয়ে পিতার সম্পদ থেকে প্রবাসী ভাই-বোনকে বঞ্চিত করেছে। আমাকেও টকিয়েছেন। প্রবাসী ভাই-বোনদের অর্থায়নে বাড়িতে মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্টা করা হয়। এখানেও লোটপাট চালিয়ে যাচ্ছে শুরু থেকে। লন্ডনে গিয়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানার কথা বলে প্রতিবার ২০/২৫ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন সুনু মিয়া। কাউকে কোন হিসাব দেননা। পৈত্রিক সম্পত্তির আয় এতিমখানার কথা বলে দীর্ঘদিন দরে আত্মসাৎ করে আসছিলেন। লোটপাট করে নিজের ব্যক্তিগত কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
