পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্য এবং বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের মামলায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১ মার্চ পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আজ এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন করে মামলার প্রতিবেদন দাখিলে দিন ধার্য করলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
এছাড়া মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে ?
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
