নিজস্ব প্রতিবেদক ; দেশের শেয়ারবাজার ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস নামমাত্র উত্থান হলেও গতকাল পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস মঙ্গলবার দর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সাথে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এখনো অনেক শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য আছে। এই অবস্থায় ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে লোকসানের সম্ভাবনা নেই। তাই বিনিয়োগকারীদেরকে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে । বাজার সংশ্লিষ্টরা আরো বলেন; শেয়ারবাজারে এখনো অনেক শেয়ার বিনিয়োগযোগ্য। এফডিআর এর সুদের হার কমে আসায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরী হয়েছে। সবমিলিয়ে শেয়ারবাজার সামনের দিকে যাওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হয়ে বিনিয়োগের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১.৪৭ পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫৫.৪৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.২৬ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৬২ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৮৫.৬৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৮৪.১৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১০৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার।
ডিএসইতে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৮টির বা ৩৩.৬০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ২০৯টির বা ৫৪.৮৬ শতাংশের এবং ৪৪টির বা ১১.৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬৪.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৭.৪৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। সিএসইতে ১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
