অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ অবলোপন-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রকাশ করে। ওই নীতিমালায় দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অর্থঋণ আদালতে মামলা না করেই অবলোপন করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এই অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া যেসব ঋণ নিকট ভবিষ্যতে আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেসব ঋণ তিন বছর ধরে মন্দমানে খেলাপি অবস্থায় থাকলে সেই ঋণগুলো অবলোপন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক খাতে অবলোপনকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ৩৮ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ ছিল ৩৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে আলাদা করে রাখা খেলাপি ঋণকে অবলোপন বলা হয়।
গত ১ এপ্রিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) জন্যও একই ধরনের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তি দেখিয়েছে, খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করে। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী থাকার পরও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওইসব ঋণ বা বিনিয়োগ স্থিতিপত্রে (ব্যালান্সশিট) প্রদর্শন করতে গিয়ে স্থিতিপত্রের আকার অনাবশ্যক স্ফীত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই হিসাবের বাইরে আরও ৩৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল ব্যাংক খাতে, যা ব্যাংকগুলো অবলোপনের মাধ্যমে স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেয়।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে নানা কৌশল গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এসব কৌশলের মধ্যে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যবসায়িক লোকসানের কারণে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপি হয়েছেন তাদের ছাড় দেওয়া এবং সরল সুদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার কথা অর্থমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন। তাছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি এবং যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা তাদের ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারিও উচ্চারণ করেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ কৌশলগুলোর কোনোটিই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনার আকারে প্রকাশ করা হয়নি। কেবল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ অবলোপন করার নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতা, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা এবং আইনি কাঠামো যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ অবলোপনের নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’
অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়ে ৩৮ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা
রমজান আলী : বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ অবলোপন-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রকাশ করে। ওই নীতিমালায় দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ অর্থঋণ আদালতে মামলা না করেই অবলোপন করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে এই অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া যেসব ঋণ নিকট ভবিষ্যতে আদায় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেসব ঋণ তিন বছর ধরে মন্দমানে খেলাপি অবস্থায় থাকলে সেই ঋণগুলো অবলোপন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক খাতে অবলোপনকৃত ঋণের স্থিতি ছিল ৩৮ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ ছিল ৩৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ব্যাংকের মূল হিসাব থেকে আলাদা করে রাখা খেলাপি ঋণকে অবলোপন বলা হয়।
গত ১ এপ্রিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) জন্যও একই ধরনের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তি দেখিয়েছে, খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো নির্ধারিত হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণ করে। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী থাকার পরও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওইসব ঋণ বা বিনিয়োগ স্থিতিপত্রে (ব্যালান্সশিট) প্রদর্শন করতে গিয়ে স্থিতিপত্রের আকার অনাবশ্যক স্ফীত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই হিসাবের বাইরে আরও ৩৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল ব্যাংক খাতে, যা ব্যাংকগুলো অবলোপনের মাধ্যমে স্থিতিপত্র থেকে বাদ দেয়।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে নানা কৌশল গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। এসব কৌশলের মধ্যে ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যবসায়িক লোকসানের কারণে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপি হয়েছেন তাদের ছাড় দেওয়া এবং সরল সুদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার কথা অর্থমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন। তাছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি এবং যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা তাদের ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারিও উচ্চারণ করেন অর্থমন্ত্রী। তবে এ কৌশলগুলোর কোনোটিই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনার আকারে প্রকাশ করা হয়নি। কেবল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ অবলোপন করার নিয়মকানুন কিছুটা শিথিল করে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতা, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা এবং আইনি কাঠামো যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ অবলোপনের নতুন এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’