স্পোর্টস ডেস্ক : খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেটের। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই তারা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। যার ফলশ্রুতিতে পেয়েছে আইসিসির টেস্ট খেলার মর্যাদা। টি-টোয়েন্টিতে তো আফগানরা একটি শক্তিশালী দল হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে এরই মধ্যে।
অথচ, দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিভিন্ন দেশে খেলতে যাওয়ার আগে সব সময়ই ভিসা সমস্যায় পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিদের এ নিয়ে সব সময়ই পোহাতে হয় চরম অনিশ্চয়তা এবং নানা সমস্যার।
এই সমস্যা কাটাতে অভিনব এক উপায় বের করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির প্রায় সব ক্রিকেটারের জন্য আরব আমিরাতের কাছে স্থায়ী আবাসের ভিসার আবেদন করেছে তারা।
শুধু তাই নয়, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এরই মধ্যে আফগানরা ক্রিকেটার এবং কর্মকতারা সবাই অবস্থান করছে আরব আমিরাতে। সেখানে শুধু ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই নয়, একটি ট্রেনিং ক্যাম্পও পরিচালনা করবে আফগান ক্রিকেটাররা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, প্রায় ২ ডজন ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তার জন্য স্থায়ী আবাসের ভিসার আবেদন করা হয়েছে আরব আমিরাত সরকারের কাছে।
আফগানিস্তানে গত বছর তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগান ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের ভিসা পাওয়া হয়ে পড়েছে খুবেই কঠিন। অথচ, বিভিন্ন সিরিজ এবং টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য আফগান ক্রিকেটারদের নিয়মিতই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে হয়।
আরব আমিরাতের রেসিডন্স ভিসা পেয়ে গেলে আফগান ক্রিকেটাররা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশটিতে অবস্থান করতে পারবে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানে না গিয়েই ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারাও খুব সহজে বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
সামনেই আয়ারল্যান্ড সফর রয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আশা করছে, তারা আবুধাবি থেকেই ব্রিটেনের ভিসার আবেদন করতে পারবে।
এক বিবৃতিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) বলেছে, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট প্রায়ই অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের হোম সিরিজ খেলে আরব আমিরাতে থেকেই। এ কারণে এখন আফগান ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের আরব আমিরাতের স্থায়ী আবাসের ভিসা কিংবা স্থায়ীভাবে অবস্থানের অনুমতি খুবই প্রয়োজন।’
ভিসা সমস্যা কাটানোর জন্য এটাই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম পদক্ষেপ। গত জানুয়ারিতে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিসা পেতে বেশ সমস্যায় পড়েছিল। যে কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে যেতে তাদের বিলম্ব হওয়ার কারণে কয়েকটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলতে পারেনি, ঠিকভাবে অনুশীলন করতে পারেনি।
