নাছির হত্যা: দুইজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড, খালাস ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর উত্তরখান থানার মাউসাইদ পূর্বপাড়ার সহকারী আনসার অ্যাডজুটেন্ট মো. নাছির উল্লাহ খান হত্যা মামলায় আসামি আরব আলী হাওলাদার ওরফে ডাকাত আলী ও রহমান খার ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামি আরাব আলী ও রহমান খাকে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় ১০ বছর ও দণ্ডবিধির ৪১২ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। দুই ধারার রায় একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. সালাম, নুরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে নুরা তালুকদার ওরফে গরুচোর নুরা, গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাম মোস্তফা খা, রেজাউল ব্যাপারী ওরফে রেজু ব্যাপারী, লিটন হাওলাদার, মো. জালাল খা, মিজান মোল্লা, সহি সরদার, ইয়ামিন ব্যাপারী, ফজলুল করিম সরকার।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উত্তরখান থানার মাউসাইদ পূর্বপাড়ার সহকারী আনসার অ্যাডজুটেন্ট মো. নাছির উল্লাহ খানের বাড়ি ঘেরাও করে দুর্ধর্ষ ডাকাতদল। তারা বাইরে থেকে জানালা দিয়ে মো. নাছির উল্লাহ খানকে গুলি করে গুরুতর আহত করে এবং ঘরের কেচি গেটের তালা ও মূল দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।

এরপর নাছির উল্লাহ খানের চিৎকারে স্ত্রী আবেদা সুলতানা ও মেয়ে নুসরাত জাহান বৃষ্টি ঘরে আসেন। তখন ডাকাতরা তাদেরও মারপিট করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। ডাকাতরা আহত নাছির উল্লাহ খানকে পুনরায় ড্রয়িং রুমে গুলি করে ও ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ ৪০ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল সেট ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ ৭১ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত নাছির উল্লাহ খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত নাছির উল্লাহ খানের ছোট ভাই মো. শামসুদ্দিন খান বাদী হয়ে উত্তর খান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামি শেখ আবুকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল মোবাইল সেট উদ্বার করে।

মামলার তদন্তকালে আসামি রেজাউল করিম, মো. সালাম, শেখ আবু, রহমান খা ও আসামি আরব আলী হাওলাদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল ১৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন- মো. সালাম, শেখ আবু, রহমান খা, রেজাউল করিম হাওলাদার, আরব আলী হাওলাদার ওরফে ডাকাত আলী, নুরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে নুরা তালুকদার ওরফে গরুচোর নুরা, গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাম মোস্তফা খা, রেজাউল ব্যাপারী ওরফে রেজু ব্যাপারী, লিটন হাওলাদার, মো. জালাল খা, মিজান মোল্লা, সহি সরদার, ইয়ামিন ব্যাপারী, ফজলুল করিম সরকার। এদের মধ্যে বিচার চলাকালীন রেজাউল করিম হাওলাদার ও শেখ আবু মারা গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাবনায় শ্রমিক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধএক চুলা ৯৯০, দুই চুলা ১০৮০ টাকা করার সুপারিশ