একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: মাহবুব উল আলম হানিফ

অর্থনীতি ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশকে গড়ার জন্য জাতির পিতা যখন কাজ শুরু করেছিলেন তখন থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাত করা, বিপর্যস্ত ও ব্যর্থ প্রমাণিত করার জন্য দেশে-বিদেশে চক্রান্ত হয়েছে। যার ফলে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ধানমন্ডির একটি কনভেনশন হলে দেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং কৃত্রিম উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারী সিন্ডিকেটের শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত এক সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কারো দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা ঘোষণা, ৬৯’র গণআন্দোলন এবং ৭০ এর নির্বাচনে জনগণের নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট পাওয়ার পর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানকিভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিলেন। সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন ৭ মার্চ।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না। যার কারণে প্রেসক্লাবের সামনে মির্জা ফখরুলরা প্রতিদিন ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তারা বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে না-কি মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এসব বলার কারণ তারা দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি। ক্ষমতায় থাকতে একটা ভালো কাজ করতে পারেনি। হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন করে তারা লুটপাট আর মানুষ খুন করেছে। এছাড়া আর কিছু করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে র‌্যাবের কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিএনপি প্রতিদিন এটা নিয়ে কথা বলে। এরা কোন লজ্জায় এসব বলে। নিষেধাজ্ঞা তারেক রহমানকে দেওয়া হয়েছিলো, সেটাও তো এখনো প্রত্যাহার হয়নি। এদের কোনো লজ্জা নেই।

সুধী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। এসময় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, জমিয়াতুস সাহাবা মাদরাসার প্রিন্সিপাল রুহুল আমীন খান ও উজানী মাদরাসার শিক্ষা সচিব আবদুর রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের কাছে ১১০ রানে হারলো বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধর‌্যা‌বের ওপর নি‌ষেধাজ্ঞার চি‌ঠির জবা‌বে যা বলল ইইউ