নাসিক নির্বাচনে ইসিকে সহযোগিতার নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা সংবলিত চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, রাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জ মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপারকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩০ নভেম্বর সময়সূচি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হবে বলেও এতে জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি ও সরকারি অনুমোদন পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থা স্থাপনা/অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

‌সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে।

নির্দেশনা পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব পালন বা সহায়তা বাধ্য থাকবে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৫ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া এসব কর্মকর্তাদেরকে বদলি করা যাবে না।

এতে বলা হয়, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোন ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। এমতাবস্থায় আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুসরণ করে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের বিষয়টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীতের মধ্যে কাদা মাখামাখি করলেন অপু বিশ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধসামান্থাকে ‘ডিভোর্সি সেকেন্ড হ্যান্ড আইটেম’ বলে কটাক্ষ