২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশরে অভিযাত্রায় আগামী দিনের সমবায় ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমবায় অধিদপ্তরের আগারগাঁওস্থ সমবায় ভবনে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের সমবায় ও ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশরে অভিযাত্রায় আগামী দিনের সমবায় ভাবনা’ র্শীষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।  সোমবার সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. হারুন-আর রশিদ- বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বক্তব্য মশিউর রহমান বলেন,সময়ের সাথে পরিবর্তনের খাপ খাওয়াতে পারেনি সমবায়। তিনি বলেন, মূখ্য আলোচক তার বক্তৃতায় সমবায়ের যে ঐতিহাসিক সাফল্য তুলে ধরেছেন এ থেকে আমরা উদ্বুদ্ধ হতে পারি। সমস্যা থাকবে ,সমাধান বের করতে হবে। সমস্যা নিয়েই আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিবন্ধক ও মহাপরিচালক স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে, এ উপমহাদেশে সমবায় শতবর্ষের অধিককাল অতিক্রম করেছে , এর মধ্যে বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের আলোকে সমবায়ের উন্নয়নে কৃষি সমবায় থেকে শুরু করে সমবায়ের নানা ক্ষেত্রে তার চিন্তা চেতনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভিলেজ কো-অপারেটিভ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা’ পাইলট প্রকল্পের কাযক্রম শুরু হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক ( প্রশাসন) মোঃ আহসান কবীর। সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাাখেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ এর সাবেক উপাচার্য একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধুর আমলে কৃষি পণ্যের উপকরণ কৃষকদেরকে ভর্তুকি মূল্যে প্রদান করা হতো। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি, সরকারের পক্ষে এদেরকে কোনো সুবিধা দেয়া বা মনিটরিং করা কষ্টকর। কৃষি সেক্টরকে সমবায়ের মধ্যে এনে কৃষি পণ্যের উপকরণ বিতরণ করা সহজ হয। তিনি বলেন, ২০৪১ এর বাস্তবায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রধান অবলম্বন হতে পার সমবায়, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে সমবায়ের দরকার। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, ইউএনডিপির জাতীয় পরামর্শক মোঃ আসুদুজ্জামান আরোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধের ওপর বার্ড, বিআরডিবি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগণ উম্মুক্ত আলোচনা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকায় মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
পরবর্তী নিবন্ধওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু যুক্তরাজ্যে