পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এবার বেড়েছে রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের দামে স্বস্তি মিলছে না। সপ্তাহ ব্যবধানে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০টাকা থেকে ৪০টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও দামের সঙ্গে স্বস্তি দিচ্ছে না। শিম, টমেটো, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমে বাজার ভরপুর থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দাম বেশ চড়া। এমনকি সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম বাড়ার ঘটনাও ঘটেছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমে। নতুন পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা মধ্যে চলে আসে। কিন্তু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে হঠাৎ করেই দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজি ১৮০ টাকায় ওঠে যায়। পরে কয়েক দফায় দাম কমে চলতি মাসের প্রথমদিকে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকায় নামে। পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, দাম বেশি হওয়ায় চাষিদের একটি অংশ নির্ধারিত সময়ের আগেই মুড়ি পেঁয়াজ তোলা শুরু করে। এ কারণে বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কম। ফলে দাম কমার বদলে এখন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দেদারসে মুড়ি পেঁয়াজ তোলা না হলে এখন পেঁয়াজের দাম অনেক কম থাকতো। এদিকে রসুনের দাম বাড়ায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের পর এবার ররসুনের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে কার্যকর নজরদারি না থাকায় সিন্ডিকেট চক্র এভাবে দাম বাড়াচ্ছে। মিরপুর পিরেরবাগ বাসিন্দা ফিরোজ বলেন, এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। আবার ভারতও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তাহলে পেঁয়াজের কেজি কেন ১০০ টাকা হবে। এটা কিছুতেই স্বাভাবিক না। অার রসুনের দাম ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এর অগের সপ্তাহ রসুন ছিল ১৪০টাকা। এখন রসুনের দাম কেজি ৬০ টাকার নিচে থাকা উচিত। মূলত বাজারে দায়িত্বশীলদের কোনো নজরদারী না থাকায় এভাবে দাম বাড়ছে। বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে ৪০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শসার মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। গত সপ্তাহে ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে এখন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। আগের সপ্তাহের মতো বাজার ও মানভেদে পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। দেশি পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও গাজরের। ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ফুলকপি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। মুলা পাওয়া যাচ্ছে ২০-২৫ টাকার মধ্যে। নতুন গোল আলু ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে। মাঝারি আকারের প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিঠুনের ফিফটি
পরবর্তী নিবন্ধ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ