মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার :
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগ এখন হায়
হায় কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামীলীগ এখন দুর্নীতি নির্ভর দল হয়ে গেছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দুর্নীতির যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে সে দুর্গন্ধ দূর করতে
প্রশাসনের নির্লজ্জ সহযোগিতায়ও কাজ হবে না। আওয়ামীলীগ এখন বাকশালকেও হার
মানিয়েছে। এক দল থেকে এক নেত্রীর দলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী
বিভাগের প্রধান থাকা সত্ত্বেও রাষ্ট্রযন্ত্র যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে সম্পূর্ণ
ব্যর্থ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ এখন ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকার নিজ দলের
নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এমনভাবে প্রসার লাভ করেছে ফলে সরকার তাদের নিজেদের
মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। এ সরকার নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে। ঢাকায় শতাধিক
ক্যাসিনিও’র সন্ধান পেলেও গত দু’সপ্তাহে শামীম, খালেদ এবং সম্রাটসহ শুধুমাত্র
৩ জনের নাম আসলেও গডফাদারেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মসজিদের শহর ঢাকাকে এখন
ক্যাসিনিও’র শহর বানিয়েছে এই অবৈধ সরকার। আওয়ামীলীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর
থেকে দেশে দুর্নীতি, দু:শাসন, জুয়া-ক্যাসিনিও,চাঁদাবাজী, টেনন্ডারবাজী এবং
লুটপাটের রাজ্যে পরিণত করেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় নাসিমন ভবনস্থ
দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে
বিএনপির চেয়ারপার্সন
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন বাঁধা দেয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকারের
মন্ত্রী, এমপি, দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশকে উই পোঁকার মত ভিতর
থেকে খেয়ে ফেলেছে। সরকারের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতিতে আসক্ত। আজ সরকারী দলের
ছোটখাট নেতাকর্মীদের বাসা বাড়ি থেকে লুটপাটের কোটি কোটি টাকা ও স্বর্ণালংকার
উদ্ধার হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে আওয়ামী লীগের লোকেরা,
যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতারা নিজেরা নিজেদের দুর্নীতির প্রমাণ নিজেরাই প্রমাণ
করেছে। তারা বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার
নাম শুনলে আতংকগ্রস্ত হয়ে উঠে। আজ তারই প্রমাণ হচ্ছে বেগম জিয়ার মুক্তির
দাবিতেন স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে পুলিশের বাধা দেয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর
বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা ঢাকাসহ
দেশকে প্রতিটি শহরকে ক্যাসিনোর শহরে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা
ছাড়া তারা এগুলো করতে পারতো না। দেশে একদিকে চলছে আওয়ামী
দুঃশাসন অন্যদিকে চলছে জনগণের টাকা লুটপাট। সবকিছু মিলিয়ে দেশের মানুষ আজ
মহাসংকটে পতিত। এই সংকট থেকে মুক্তির জন্য সরকার পরিবর্তন দরকার। সেজন্য সবার
আগে গণতন্ত্রের জননী দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি দরকার। চট্টগ্রাম
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ
সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম
কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম,
প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, নগর স্বোচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি
তোফাজ্জল হোসেন সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান
জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ
প্রমুখ। নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির
দাবীতে কেন্দ্রঘোষিত মনববন্ধন পুলিশী বাঁধার শিকার হলে মানববন্ধন তাৎক্ষণিক
প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
