নিজস্ব প্রতিবেদক : ধানের দাম বাড়ার পরিবর্তে এখন আরো কমেছে। ধানের দাম বাড়ানোর জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছিলো তা কাজে আসেনি। শুরুতে দর সামান্য বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। বরং গত এক সপ্তাহে ধান-চালের দাম আরও কমে গেছে।
এবার উৎপাদন খরচের প্রায় অর্ধেক দামে ধান বিক্রি হওয়ায় সমালোচনার মুখে সরকার নানা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছিল। ব্যবসায়ীরাও সরকারকে চিঠি দিয়ে বলেছিল, সিদ্ধ চাল রপ্তানির অনুমতি দিলে তারা বিপুল পরিমাণে চাল রপ্তানি করবে। এতে চালকল মালিকেরা বাজার থেকে ধান কেনা বাড়িয়ে দেবে। এতে ধানের দাম বাড়বে। কিন্তু তা হয়নি।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সংকট যদি সরকার অনুমান করতে পারতো, তাহলে আরো আগেই চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশ থেকে চাল রপ্তানি হলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়বে এই আশায় আমরা সেদ্ধ চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে কেন চাল রপ্তানি করতে পারল না, তা বুঝতে পারছি না। সরকারিভাবে ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের সঙ্গে রপ্তানি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এ ব্যাপারে উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তাহলে কৃষকের লোকসান কমাতে ধান-চালের দাম বাড়াতে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, এই প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী, আমরা ধানের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়েছি, তা দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে দাম বাড়তে পারে।
চাল রপ্তানি না হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম লায়েক আলী বলেন, সরকার চাল রপ্তানির জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি করেনি। আর চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তা দিয়ে রপ্তানি করে পোষাচ্ছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম। তাই সরকার যদি তা ৩০ শতাংশ করে তাহলে রপ্তানি করা যাবে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জানাযায়, কুষ্টিয়া, রংপুর, নওগাঁ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন হাটে ধানের দাম গত এক সপ্তাহে প্রতি মণে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সরু ও মোটা চালের দাম অপরিবর্তিত আছে।
