পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক: হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরাবাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ১৫ থেকে ২০ টাকা, আদা ১০ থেকে ৪০ টাকা ও রসুন ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে ১৫ দিনের হিসেব করলে দাম বেড়েছে আরো বেশি। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এই নিত্যপণ্যটির।
গতকাল ঢাকার বিভিন্ন বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগেও দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা ছিল। এতে কেজিতে গড়ে ১৫ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া রসুন ও আদাও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে পণ্য এই কয়েকটি পণ্যের দাম। গতকাল প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি আদার কেজি ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। চীনা আদা ১৫০ টাকা ও থাইল্যান্ডের আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুধু খুচরা বাজার নয়, পাইকারি আড়ত ও আমদানি পর্যায়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গতকাল হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। রাজধানীর কৃষি পণ্যের পাইকারি বড় আড়ত শ্যামবাজারে এই পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হয়। কারওয়ান বাজারে এসে তা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। পাইকারি এই বাজারগুলোতে গতকাল সোমবার দেশি পেঁয়াজ ৪৩ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হয়। আগের দিন রোববার ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল।
পেঁয়াজের চাহিদা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এ হিসাবে দৈনিক ৭ থেকে ৮ হাজার টন পেঁয়াজ ব্যবহার হয়। খুচরা বাজারের বাড়তি দর প্রতিটন পেঁয়াজে ১৫ হাজার টাকা হলে দিনে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হবে ক্রেতাদের। এ হিসাবে দুই দিনে পেঁয়াজ কিনতে ২০ থেকে ২৪ কোটি টাকা বাড়তি গুনতে হয়েছে।
পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানিকারক এবং শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মাজেদ বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে দর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে দাম আর তেমন বাড়বে না।
তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, সামনে কোরবানীর ঈদ। তাই কোরবানীকে সামনে রেখে এসব পণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নাই।
