বাজেটে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯-২০ অর্থবছরেরর প্রস্তাবিত বাজেটে সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাক্সারাস এসোসিয়েশন (বিসিএমএ)।
সোমবার রাজধানীর ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটি বলছে, সিমেন্টর যাবতীয় কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ অ্যাডিশনাল ইনকাম ট্যাক্স এআইটি চুড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। স্থানীয় সরবরাহ পর্যায়ে ৩ শতাংশ উৎসে অগ্রিম কর চুড়ান্ত হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও সিমেন্টের কাচামাল আমদানিতে ৫% আগাম কর প্রস্তাব করা হয়েছ। এগুলো বাস্তবায়নের ফলে প্রতি বস্তায় ৪২ টাকা সিমেন্টর দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা
বর্তমানে বেশ কিছু সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব ও উন্নতি প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। ফলে এই খাতে বর্তমানে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। পাশাপাশি এই খাতের সামগ্রীক উৎপাদন ক্ষমতা হবে সাড়ে ৫ কোটি মেট্রিক টন। যা বর্তমান চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। এই মুহূর্তে অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দিলে দেশের অবকাঠামো খাত মুখ থুবড়ে পড়বে বলে দাবি সংগঠনটির।
এছাড়াও পদ্মা সেতুসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প যেমন মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ সারা দেশব্যাপী ফ্লাইওভার, ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ প্রতিটি জেলায় স্কুল কলেজ হাসপাতাল ও ফ্ল্যাট নির্মাণের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার খরচ আরও বেড়ে যাবে।
বর্তমানে সিমেন্ট খাতের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ তবে এ সমস্ত কর মাথায় চাপানো হলে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ এই শিল্পের কাঁচামাল সম্পূর্ণভাবে আমদানি নির্ভর এবং বিশ্ব বাজারের সাথে ওঠা-নামা করে। সবকিছু বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিএমএ’র সভাপতি আলমগীর কবির ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সহ আরও অনেকে।

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের একটি মানুষও গরীব থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় স্মার্টফোন মেলা শুরু ৪ জুলাই