বয়স ৬৬। সুঠাম দেহ। ক্ষুরধার চাহনি। স্বভাবে বিনয়ী- প্রেসিডন্টে ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের সব প্রেসিডেন্টের মধ্যে তাকেই সবচেয়ে ‘ঠাণ্ডা’ মাথার আখ্যা দেয়া হয়।
আবার যে আমেরিকাকে সমীহ করে গোটা বিশ্ব, সেই মার্কিনিদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতেও ভয় পান না তিনি। খবরের পাতায় যার নাম না থাকলে পশ্চিমা বিশ্বের পত্রিকাগুলোর কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা থেকে যায়। সেই পুতিনই এবার খবরের শিরোনামে উঠেছেন ভিন্ন এক কারণে।
গত পাঁচ বছর নিঃসঙ্গ থাকার পর আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন তিনি। সরাসরি না জানালেও ? অলিম্পিকে সোনাজয়ী সাবেক জিমন্যাস্ট তারকা আলিনা কাবায়েভার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। এমনকি সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরেও বিয়ের জল্পনা উসকে দিয়েছেন পুতিন নিজেও। সাধারণত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তার সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়েই প্রশ্ন করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার পুতিনের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রথা ভাঙেন এক স্থানীয় সাংবাদিক। সাহস করে পুতিনের কাছে বিয়ের কথা জানতে চান। জবাবে মুচকি হেসে পুতিন বলেন, ‘একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আমারও এই কাজটি করে ফেলা উচিত।’? তবে তিনি কবে নাগাদ এবং কাকে বিয়ে করছেন এ বিষয়টি খোলসা করেননি।
১৯৮৩ সালে রুধমিলা পুতিনকে বিয়ে করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ২০১৩ সালে তাদের সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এর পর থেকে একাই রয়েছেন তিনি। ক্যাটারিনা ও মারিয়া নামে ৩০ বছর বয়সী দুটি মেয়ে থাকলেও তারা কখনোই জনসমক্ষে আসেন না। রাজনীতির সঙ্গে কোনো যোগ নেই। ৬৬ বছর বয়সী পুতিন নিজের ব্যক্তিগত আর পারিবারিক বিষয় নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করতেই পছন্দ করেন। এমনকি কাবায়েভার সঙ্গে সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে সংবাদ সম্মেলনে তার উত্তরের পরই জল্পনা চলছেই।
