পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন

পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:

বদলে গেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম। নতুন নাম হয়েছে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ মন্ত্রণালয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী অনেক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন শব্দটি যোগ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের নাম বদলের প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের এ প্রস্তাব আগেই এসেছিল। আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ যুক্ত করা হয়েছে।’ এখন থেকে বাংলায় ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়’ এবং ইংরেজিতে Ministry of Environment, Forest and Climate Change হবে এ মন্ত্রণালয়ের নাম। গত বছর ৬ আগস্ট জাতীয় পরিবেশ কমিটির চতুর্থ বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন’ করার সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিসভার সায় পাওয়ার পর এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপন জারি হলেই নতুন নাম কার্যকর হয়ে যাবে।

নাম পরিবর্তনের কি সুবিধা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, সারা বিশ্বেই এখন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। জলবায়ু তহবিল-সংক্রান্ত যেসব কার্যক্রম আসবে আমরা সেগুলো অ্যাডড্রেস করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন প্রকৃতিতেও চেঞ্জ চলে এসেছে। ঝড়বৃষ্টি, আগাম বন্যা কত রকমের প্রাকৃতিক চেঞ্জ আমরা শুধু বাংলাদেশে না সারা বিশ্বেই দেখতে পাচ্ছি। এ জন্য বিষয়টি এখন আর বাংলাদেশের সাবজেক্ট নেই। বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাইওনিয়ার। কারণ যখন কেউ টাকা দেয়নি জলবায়ু তহবিল করার জন্য। তখন আমাদের সরকারে টাকা দিয়ে তহবিল গঠন করা হয়। এটা দিয়ে বহু দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। সেটা দিয়ে শুরু করি। দাতা বা পার্টনারদের টাকা দিয়ে আমরা শুরু করিনি। জানা গেছে, বিশ্বের যেসব দেশ জয়বায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যে হারে বাড়ছে, তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের একটি বড় এলাকা পানির নিচে চলে যেতে পারে এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন গবেষকরা। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দুটি তহবিল গঠন করে। এর একটি হল বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট (বিসিসিটি) ফান্ড এবং অন্যটি অন্যটি বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়ান্স ফান্ড (বিসিসিআরএফ)। অবশ্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওই তহবিলের আওতায় প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগও ইতিমধ্যে উঠেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশরীয়তপুরে একই শিকলে বাবা-ছেলেকে গাছে বেঁধে দিনভর নির্যাতন
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে : হানিফ