ছাতকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার : দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ):

ছাতকে দিনমজুর নিরীহ পরিবারের ১১ বছরের স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে বড়কাপন দক্ষিণ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও দিনমজুর হারুন মিয়ার শিশু কন্যা। ঘটনায় অভিযোক্ত দক্ষিণ বড়কাপন গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে মজর আলী (২৮) ও তার আপন চাচাতো ভাই আব্দুল করিমের ছেলে হান্দান মিয়া (২৯)। স্কুল শিক্ষার্থী পিতা দিনমজুর হারুন মিয়া বুধবার রাতেই ছাতক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
বুধবার সকাল ১০টায় জাউয়া বাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কাপন গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালীরা। বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবারকে হাসপাতালে ও পুলিশের কাছে যেতে দেয়নি প্রভাবশালীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানালে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা জানান, দিনমজুর পরিবারের শিশুটি ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলনা। এ সুযোগে একই গ্রামের মজর আলী তার মায়ের (মজর আলীর মায়ের) কথা বলে বাড়ীতে ডেকে নেয়। ঘরে প্রবেশ করতেই দরজা বন্ধ করে প্রায় দেড় ঘন্টা আটকে রেখে দু’জন মিলে পাশবিক নির্যাতন করে। এসময় তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
ইউপি সদস্য নূর মিয়া বলেন, গ্রামের মুরুব্বিরা বিষয়টি দেখে দেবেন বলায় তিনিও সকলের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। তার কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ছাতক-দোয়ার সাকের্ল এএসপি মো. দোলন মিয়া বলেন, নির্যাতিত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাসীদের ভোটার হতে প্রধান বাধা দ্বৈত নাগরিকত্ব : সিইসি
পরবর্তী নিবন্ধলন্ডনে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রী