পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১ দিনের জন্য ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি আজ আদালতে যাবেন।
বুধবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলার কার্যক্রম ১ দিনের জন্য স্থগিতের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী।
এ কারণে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলার পূর্বনির্ধারিত যুক্তিতর্ক শুনানি ১ দিনের জন্য স্থগিতের আবেদন করছি। শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় আমরা ‘অ্যাডজন’ (মুলতবি) চাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনের বিষয়ে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের (দুদক প্রসিকিউশন) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা ধর্মীয় ব্যাপার। খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন মঞ্জুর করলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
এরপর বিচারক খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবারের জন্য ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়ে বলেন, অন্য আসামিদের পক্ষে আগামীকাল (আজ) যুক্তি উপস্থাপন চলবে। তবে আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে ১ দিনের জন্য ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও মামলার কার্যক্রম স্থগিত না করায় তিনি আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি রাখার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত তা নামঞ্জুর করে শুধু ম্যাডামের (খালেদার) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ১ দিনের অব্যাহতি পর্যন্ত মঞ্জুর করেন। মামলার কার্যক্রম মুলতবি না করায় আগামীকাল (আজ) আদালতে উপস্থিত থাকবেন খালেদা জিয়া।
এদিন বেলা ১১টা ২৮ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হয়ে দুই মামলায় হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। বেলা ৩টার দিকে তিনি আদালত ত্যাগ করেন। আগেরদিন মঙ্গলবার তার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীরা। ওই দিন তারা খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিতে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন।
এদিকে বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অপর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়নি। আজও তিনি যুক্তি উপস্থাপন করবেন। যুক্তিতর্ক শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাওয়ার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি চলছে। জিয়া অরফানেজের নামে ২ কোটি টাকা আসে। এখন তা বেড়ে ৬ কোটি হয়েছে। জিয়ার নামে ট্রাস্ট খুলতে চাইলে কয়েক কোটি টাকা চলে আসবে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি করে দুদক। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দ্বিতীয় মামলাটিও করে দুদক।
