পপুলার২৪নিউজ ফিরোজ মিয়া : রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারগুলোতে গরু ও খাসির মাংসের দাম এখনও সাধারণ ক্রেতার সামথ্যের বাইরে। রোজার আগে সিটি কর্পোরেশন থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা মানেননি রাজধানীর মাংস ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে কয়েক দফায় দাম বাড়ানোও হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দামও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল ছোট সাইজের প্রতিটি দেশি মুরগি। আজ শুক্রবারের বাজারে সেই দাম বাড়িয়ে ৪৩০ টাকা রাখা হচ্ছে। এছাড়া তেল ও রসুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা হারে কমেছে। তবে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। ব্যবসাহীরা বলছেন বন্যার কারনে সবজির দাম বেড়েছে।
আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ছোট দেশি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকা দরে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি আগের দাম অর্থাৎ ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা । আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম ১-২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা স্বর্ণা চাল ২ টাকা কমে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, পারিজা চাল ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিনিকেট (ভালো মানের) ২ টাকা কমে ৫৬ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২ টাকা, বিআর ২৮ ৪৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৫০ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫২ টাকা, পাইজাম চাল ৪৮ টাকা, বাসমতি ৫৩ টাকা, কাটারিভোগ ৭২-৭৩ টাকা এবং পোলাও চাল (পুরাতন) ১০০ টাকা, (নতুন) ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মরিচের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রয় হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা; শশা ৫০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০ টাকা; কচুর লতি ৬০ টাকা; পটল ৪০ টাকা; ঢেঁড়স ৫০ টাকা; ঝিঙ্গা ৫০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫০ টাকা; করলা ৫০ টাকা; কাকরোল ৫০ টাকা; পেঁপে ৩০ টাকা; কচুরমুখী ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা; পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা; লালশাক ১৫ টাকা; পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আজকের বাজারে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা; ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা; দেশি রসুন ১১০ টাকা; ভারতীয় রসুন ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাইব্রিড টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা; দেশি টমেটো ৯০ দরে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৮০ টাকা; আলু ২৪ টাকা। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ৮০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
