তথ্য ও প্রযুক্তি সুরক্ষা আইনের ৫৭ ধারা বর্তমান রূপে থাকবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।আজ বুধবার বিকেলে রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারার যে অপরাধ, সেগুলো অপরাধই। সে অপরাধগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এগুলোকে একেবারে বাদ দেওয়া যায় না। তবে এ আইনে কোনো মানুষই হয়রানির শিকার না হয়, সেটি আমরা সুনিশ্চিত করবো। ৫৭ ধারার এই রূপও থাকবে না।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলকে জানানো হয়। তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং এখন তিনি ফেরারি। তাকে দেশের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। বর্তমানে আদালতের সঙ্গে সরকারের বিরোধ নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এনিয়ে সংসদে আলোচনা, বিতর্ক হয়েছে। এতে করে গণতন্ত্র আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। আগামীতে আরও শক্তিশালী গণতন্ত্র দেখতে পাওয়া যাবে।
ভবন উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী আদালত প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও রাজশাহী-৫ আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক, সংরক্ষিত আসনের এমপি আক্তার জাহান ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল ইসলামসহ রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল-হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এ সমাবেশের আগে আইনমন্ত্রী নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি বেলুন উড়িয়ে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ভবনের সামনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। বিকেলে রাজশাহীর আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
রাজশাহী আদালতে এজলাস সংকট দূর করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের পাশে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি ১২তলা হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত হয়েছে ৮তলা। এই ভবনে বিভিন্ন সুবিধাসহ আছে ১০টি এজলাস।
