পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক :
বিএনপি ভিশন অনুসরণ করে না বরং আওয়ামী লীগই ২০০১ সালে পর থেকে ভিশন অনুসরণ করছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপিই প্রথন ভিশন দেয়া শুর” করে। এর পরে আওয়ামী লীগ অনুসরণ করে ভিশন দেয়া শুরু করে। আমরা এ নিয়ে অভিযোগ না করে গর্ববোধ করি।
বৃস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মদের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ ঘোষণার, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদয়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার ভিশন অন্তস্বার শূন্য। তারা আওয়ামী লীগের ভিশন কপি করেছে। এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফখরুল বলেন, ইংরেজিতে একটি কথা আছে, “ইটস ব্যাটার টু ইগনোর ইট”। ইগনোর করতে পারলে খুব খুশি হতাম। কিন্তু সকলের জন্য দেশের মানুষের জন্য, আমাদের এই কথা গুলোর উত্তর দেয়াটা খুব প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ বরাবরই বিএনপিকে অনুসরণ করেছে। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়াকেও অনুসরণ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই একটি ভিশিনারি দল। ২০০১ সালে বিএনপি প্রথম ভিশন দিয়েছিল। ভিশনটা প্রথম আওয়ামী লীগ দিয়েছে, তাদেরকে আমরা অনুসরণ করেছি এটা একেবারেই অসত্য তথ্য। এদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, রুপায়ন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সহ সকল ক্ষেত্রেই যে আধুনিকায়ন ও ইতিবাচক রুপ এসেছে তার সবই বিএনপি, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার হাত ধরে এসেছে।
মির্জা ফখর”ল বলেন, আওয়ামী লীগ ভিশন দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে না। সে যোগ্যতা তাদের নেই। তারা দলীয় করণের মাধ্যমে লুটপাট, দখলদার, ভাগাভাগিতে ব্যস্ত থাকে। তাদের লুটপাটের প্রমাণ দেখা যায়, ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ার বাজার কেলেংকারি, উন্নয়নের নামে বাজেট বারিয়ে লুটপাট।
আওয়ামী লীগের ভিশন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ভিশন দিয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। অথচ তাদের বর্তমান অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। এই ভিশনের সাথে বাস্তবতার কতটুকু মিল আছে? তারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলেছিল কিন্তু প্রধানবিচারপতি বলছে দেশে আইনের শাসন নেই। কিন্তু বিএনপি যা বলে তা বাস্তবায়ন করে। অতিতে তা প্রমাণিত হয়েছে ভবিষ্যতেও হতে। এই ভিশনও বাস্তাবায়ন করবে। বিএনপির ভিশন কঠিন তবে অসম্ভব নয়। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে এই ভিশন বাস্তাবায়নে কাজ করবে।
জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে মহাসচিব বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে যখন গণতন্ত্র লুণ্ঠিত, মানুষের মৌলিক অধিকার কেরে নেয়া হয়েছে, বাক স্বাধীনতাকে র”দ্ধ করা হয়েছে, হত্যা, গুম, খুনের মধ্য দিয়ে মানুষের নূন্যতম বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করা হচ্ছে, রাজনৈতিক ভাবে অধিকার হরণ করা হচ্ছে, সেই সময় জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করে তাকে অনুসরণ করে গণতন্ত্রকে পুনর”দ্ধার করবার যে সংগ্রাম লড়াইয়ে আমরা অনুপ্রাণিত, উজ্জিবিত হতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, হারুন অর রশীদ, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল প্রমুখ।
