পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক :
গত মাসে বেশ কয়েকটি স্থানে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান হলেও বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা নেই বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
“নানা ধরনের হুমকি আমরা পেয়েছিলাম। তখন কাউকে বলিনি। অনেক ধরনের হুমকি আমাদের কাছে এসেছিল; এটা হবে, ওটা হবে।”
পহেলা বৈশাখের উৎসব ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক কড়াকড়ি ছিল, যা নিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরও অসন্তোষ জানিয়েছিলেন।
সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তল্লাশির মুখে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। জনদুর্ভোগের কথা বলে আওয়ামী লীগ তাদের শোভাযাত্রাও বের করেনি এবার।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ‘হিন্দুয়ানি’ আখ্যায়িত করে উৎসবের বিরোধিতা সব সময় করে আসছে কট্টর ইসলামী দলগুলো। ২০০১ সালে জঙ্গি হামলার লক্ষ্যবস্তুও হয়েছিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান।
রমনা বটমূলে বোমা হামলার হোতা মুফতি আব্দুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর কোনো ধরনের হামলার শঙ্কা আছে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নে পহেলা বৈশাখের আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, “কোনো থ্রেট নেই, কোনো থ্রেটের আভাস-ইঙ্গিত কিছুই আমাদের কাছে নেই।”
হুমকির কারণে নিজে শঙ্কিত ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি সারাক্ষণ একটা আতঙ্কে ছিলাম। কোথা থেকে শুনব- এই একটা বোমা পড়ল, এই একটা আওয়াজ হল।এত বড় একটা দেশ, এত মানুষ.. চিন্তা সব সময় থাকে।”
হুমকির কারণে গোয়েন্দা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
“তারা এত সক্রিয় ছিল যে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমগ্র বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, সাধুবাদ জানাই।”
