পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক:
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। এক বছরের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় তাঁকে এই জামিন দেওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই রায় ফাঁসের মামলায় দণ্ড পাওয়া পাঁচজনের একজন ফখরুল ইসলাম। তাঁকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ফখরুল আপিল করলে গত ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে তাঁর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও জহিরুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহম্মেদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন এবং সংবাদকর্মীদের রায়ের খসড়া কপি দেখান।
এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২০ নভেম্বর সেগুনবাগিচার কার্যালয় থেকে আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন ও ফারুক রায়ের খসড়া ফাঁসের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সাকা চৌধুরীর স্ত্রী, আইনজীবী ফখরুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। এর সাত মাস পর রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে সালাউদ্দিনের আইনজীবীসহ পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা হয়েছে। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে খালাস পান।
