পপুলার২৪নিউজ,জেলা প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই শিশুকে অভিযানের পঞ্চম দিনেও উদ্ধার করা যায়নি। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস। গত চার দিনে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ১০ নারী, পাঁচ পুরুষ ও দুই শিশুসহ ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ থাকা শিশুরা হলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের মহসিনের ছয় বছর বয়সী ছেলে হাসিব এবং একই উপজেলা পল্লীমঙ্গল বাজার এলাকার বাচ্চুর ছয় মাস বয়সী ছেলে রাহাত।
অন্যদিকে পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির পর নদী পারাপারে স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারাপারের সময় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে পানগুছি নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এদিকে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হওয়া মোসাম্মৎ কামরুন্নেছা (৫৮) নামে আরেক নারীর সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকর্মীরা। শুক্রবার নিখোঁজ ওই নারীকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সুতালড়ি গ্রামের বাড়িতে পাওয়া গেছে। তিনি ওই গ্রামের হাফেজ আব্দুল আজিজের স্ত্রী। গত মঙ্গলবার ট্রলারডুবির পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার দিন পরিবার তাকে না পেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক সরদার মাসুদুর রহমান বলেন, পঞ্চম দিনের মতো পানগুছি নদীতে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। আমরা এখনো তাদের সন্ধান পাইনি। অন্যদিকে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজের তালিকায় থাকা কামরুন্নেছার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি উদ্ধারের পর চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার কামরুন্নেছার পরিবার আমাদের কাছে তার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
