পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা। ছবি: রয়টার্স।ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের সরে আসার (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া শুরু করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরকারের উপস্থাপিত বিল সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সম্মতি পেয়েছে।
গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে এই ভোট নেওয়া হয়। বিরোধী দলে থাকা লেবার পার্টির সমর্থনে সরকারের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিল পেয়েছে ৪৯৮ জন এমপির ভোট এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন এমপি।
এসএনপি, প্লেইড সিমরু ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের বিরোধিতা করেন। লেবার পার্টি এই বিলের সমর্থন দিলেও দলের ৪৭ জন এমপি বিপক্ষে ভোট দেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এমপিরা দুদিন ধরেই এই বিলের পক্ষে-বিপক্ষে তর্কাতর্কি করছেন। তবে পররাষ্ট্রসচিব বরিস জনসন এই ফলাফলকে ‘একদম আবশ্যক’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন। ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তিগুলো থেকে সরে আসছি। ইউরোপ থেকে নয়।’
জনসন বলেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন পরিচয় পাবে এবং ইউরোপের কল্যাণে অসাধারণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে।
আইনে পরিণত হওয়ার আগে এই বিল এখন হাউস অব কমন্স ও হাউস অব লর্ডসে আরও যাচাই বাছাইয়ে যাবে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ৩১ মার্চের মধ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আইন হওয়ার পর থেরেসা মে লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটি প্রয়োগ করে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। এর আগে গত জুনে গণভোটে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত দেন যুক্তরাজ্যের জনগণ। গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সরে বাসার পক্ষে ভোট আসে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ। অপ্রত্যাশিত ওই ফলের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির থেরেসা মে।
