পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
অ্যাপেন্ডিস অস্ত্রোপচার করতে হয় ১৬ বছরের এক তরুণীর পেটে। এ সময় চিকিৎসকরা তার গর্ভাশয়ের ভেতরে টিউমার ধরনের কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখে তা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর চিকিৎসকরা সেখান থেকে যা উদ্ধার করেন, তা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
জাপানি এ তরুণির পেট থেকে অ্যাপেন্ডিস অপসারণের সময় অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে চিকিৎসকদের কাছে। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা তার প্রায় ১০ সেন্টিমিটার চওড়া টিউমারটিও অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তারা পরীক্ষা করে দেখেন এটি শুধু টিউমারই নয় একটি মস্তিষ্কের অংশবিশেষ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা টিউমারটির সঙ্গে মস্তিষ্ক ও খুলি ছাড়াও মাথার চুল পেয়েছেন। অর্থাৎ একটি মানুষের মস্তিষ্কের অংশবিশেষ রয়েছে টিউমারটিতে।
ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর জানা যায়, এ টিউমারটি একটি মস্তিষ্কের মতোই কাজ করতে সক্ষম। কারণ এতে মস্তিষ্কের মতোই দুটি ভাগ রয়েছে। এছাড়া ইলেক্ট্রিক ইমপালস পাঠানোর মতো নিউরনও রয়েছে টিউমারটিতে। এছাড়া স্পাইনাল কর্ডের সঙ্গে সংযোগের জন্য কাঠামোও রয়েছে এতে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান জাপানি গবেষক মাসায়ুকি শিনতাকু। তিনি টিউমারটির বিষয়ে একটি গবেষণাও করেছেন।
তরুণীর গর্ভাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া এ টিউমারটি নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও এটি সাধারণত ক্ষতি করে না বলে জানান গবেষকরা। এর কারণও এখনও জানা যায়নি। টিউমারে ব্রেন সেল পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবে এটি ঠিক ব্রেনের মতো করে কাজ করার বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবেই মানছেন গবেষকরা।
তবে সে তরুণী তার ডিম্বাশয়ে বেড়ে ওঠা এ টিউমারটির বিষয়ে আগে কিছুই বুঝতে পারেননি। এ কারণে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, টিউমার মস্তিষ্কটি তার দেহে কাজ শুরু করেনি।
বর্তমানে টিউমারটি অপসারণ করার পর তরুণীটি দ্রুত সেরে উঠছেন।
এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নিউরোপ্যাথোলজি জার্নালে।
