পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক :
এবার হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। তাঁদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে আনা-নেওয়া করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ জন্য পরিচালিত হবে ৩৪৬টি ফ্লাইট। ২৪ জুলাই সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে।বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৯০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ৫০৯ জন রয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজযাত্রীদের বিদায় জানাবেন। একই দিন বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে, বিকেল ৭টা ৫৫ মিনিটে ও রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিমানের আরও তিনটি ফ্লাইটে করে হজযাত্রীদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে এ বছর বিমানের হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
বিমান তাদের নিজেদের বোয়িং ৭৭৭ ও লিজে আনা বোয়িং ৭৭৭-২০০ মডেলসহ ছয়টি উড়োজাহাজে করে হজযাত্রীদের আনা-নেওয়া করবে। এ বছর বুকিং নিশ্চিত করে শিডিউল ঠিক রাখারা জন্য বিমান অর্ধেক ভাড়া অগ্রিম নেবে। এবার ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজযাত্রীদের ইকনোমি ক্লাসে ভাড়া ১ হাজার ৪৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে অন্যান্য কর। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক সাত ঘণ্টা।
দুই মাসে হজযাত্রী আনা-নেওয়ার জন্য বিমানের ৩৪৬টি ফ্লাইটের মধ্যে ২৮৩টি বিশেষ ও ৬৩টি নিয়মিত ফ্লাইট থাকবে। ২৪ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত হজ-পূর্ব ১৭৭টি ফ্লাইট রয়েছে। এ ছাড়া হজ-পরবর্তী ১৬৯টি ফ্লাইট চলবে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রত্যেক হজযাত্রী বিনা মূল্যে সর্বোচ্চ ৪৬ কেজি মালামাল বিমানে ও বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বোচ্চ ৫৬ কেজি এবং কেবিন ব্যাগেজে সাত কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। ফিরতি ফ্লাইটে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। ঢাকায় আসার পর তাঁদের তা প্রদান করা হবে। তাঁরা সঙ্গে করে উড়োজাহাজে করে পানি বহন করতে পারবেন না। যেকোনো ধারালো বস্তু, ধাতবনির্মিত দাঁতখিলন, কান পরিষ্কারের বস্তু, তাবিজ ও গ্যাসজাতীয় বস্তু এবং ১০০ মিলিলিটারের বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না। কোনো প্রকার খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নেওয়া যাবে না।
