নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী জামদানি কারিগরকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর ধর্ষক ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর এলাকায় ইউসুফ আলী ও নুরুল ইসলামের বাড়িতে জামদানি বুননের কাজ করতেন ওই নারী। সে সুবাদে ইউসুফ আলী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এই কাজে ইউসুফকে সহায়তা করতেন নুরুল ইসলাম। ধর্ষণের ফলে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে তারা ইউসুফকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত ইউসুফ ও সহায়তাকারী নুরুল ইসলামকে বাঁচাতে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই নারীর পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ দেয়। এছাড়া সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাসও দেয়া হয়। এক পর্যায়ে ওই নারীকে নুরুল ইসলামের বাড়ি নিয়ে আটকে রেখে পেটের বাচ্চা নষ্ট করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ওই নারীর বাবা আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন।
পরে দুপুরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। আসামি ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
