সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচনের জন্য গঠিত সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান পদত্যাগ করেছেন।

শনিবার (১৯ মার্চ) নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি থেকে সরে যান বলে নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভোট গণনার পর ওই রাতে একটি পদ নিয়ে আইনজীবীরা এমন আচরণ করেছেন যাতে আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি।

ওই রাতের প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়। গণনা শেষে সভাপতিসহ ছয়টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) ও সম্পাদকসহ ৮টি পদে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (নীল প্যানেল) ছিল বিজয়ের পথে।

সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আওয়ামী লীগের প্রার্থী থেকে অল্প কয়েক ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতি নিলে সম্পাদক পদে ভোট পুনরায় গণনার দাবি তোলেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। তারা সম্পাদক পদে ভোট কারচুপি ও বাতিল হওয়া ভোট কাজলের পক্ষে গণনার অভিযোগ আনেন।

আহ্বায়ক আইনজীবী মশিউজ্জামান অভিযোগ নাকচ করে ফলাফল ঘোষণায় অনড় থাকলে মিছিল এবং হট্টগোল শুরু হয়। এ নিয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ব্যাপক হৈ হুল্লোড় শুরু করেন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থী আব্দুন নূর দুলাল লিখিতভাবে ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ না করলে উপ-কমিটির আহ্বায়ককে পদত্যাগ করতে বলেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। তার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। সেই থেকে সৃষ্টি হয় ফলাফল ঘোষণার অনিশ্চয়তা।

এ পরিস্থিতিতে রাত ৩টার পর ভোট পুনরায় গণনার আবেদন নেওয়া হয় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়। সেসময় তিনি জানান, শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় দুই সম্পাদক প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনরায় গণনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কিন্তু গতকাল (১৯ মার্চ) অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামান সুপ্রিম কোর্টেই আসেননি। এ কারণে ভোট পুনর্গণনা এবং আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণারও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে আজ তিনি পদত্যাগ করলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা অনুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধইউক্রেনে ১৪৪০০ রুশ সৈন্য নিহত, দাবি ইউক্রেনের