ডেনমার্কের এক প্রাইভেট সাবমেরিন থেকে রহস্যজনকভাবে নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। কিম ওয়াল নামে সে নারীর মুণ্ডহীন দেহের খোঁজ পাওয়া গেছে বাল্টিক সাগরে।
পুলিশ জানিয়েছে, তার দেহ পাওয়া গেলেও এখনও মাথা পাওয়া যায়নি। তবে মাথার সন্ধান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তার দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি তিনি।
এরই মধ্যে পুলিশ সাবমেরিনটির মালিক এবং চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে।
গ্রেফতার হওয়া পিটার ম্যাডসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাবে বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। ওই মহিলা সাংবাদিককে তিনি সাবমেরিন থেকে ঠিকমত নামিয়ে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে পুলিশের জেরার মুখে তিনি অবশ্য বলেছেন, দুর্ঘটনায় সে নারী মারা গিয়েছেন। তাকে তিনি সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
কিম ওয়াল নামে এই মহিলা সাংবাদিকের রহস্যজনক অন্তর্ধানের এই ঘটনাটি নিয়ে ডেনমার্কে তুমুল আলোচনা চলছে।
গত শুক্রবার নিখোঁজ সাংবাদিক কিম ওয়ালের সঙ্গী প্রথম এ ঘটনা পুলিশকে জানান। তিনি বলেন, সাবমেরিনে স্বল্প সময়ের এই যাত্রার পর কিম ফিরে আসার কথা থাকলেও তখনো ফেরেননি।
যে সাবমেরিনটিতে চড়ে কিম ওয়াল গিয়েছিলেন সেটি যখন খুঁজে পাওয়া যায়, তখন সেটি পানিতে ডুবে গেছে। সেটি থেকে সাবমেরিনটির মালিক এবং চালক পিটার ম্যাডসেনকে উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু সেখানে কিম ওয়ালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিম ওয়াল নিউ ইয়র্কে থাকেন। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান এবং ভাইস ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন।
যে সাবমেরিনে চড়ে তিনি ঘুরতে গিয়েছিলেন সেটির নাম নটিলাস। কোপেন হেগেনের দক্ষিণে সাগরতলে এখন এটি পড়ে ছিল। পরে উদ্ধারকারীরা এটিকে টেনে তুলেছেন।
সাবমেরিনটিতে কিছু রক্তের চিহ্নও পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সাবমেরিনের সে রক্তগুলো যে সেই নারীর, তাও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পিটার ম্যাডসেনের ‘নটিলাস’ সাবমেরিনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন সাবমেরিন বলে দাবি করা হয়। কিম ওয়াল এই সাবমেরিনটি সম্পর্কে প্রতিবেদন লেখার জন্যই পিটার ম্যাডসেনের সঙ্গে সেটিতে চড়েন।
