নিজস্ব প্রতিবেদক
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী রেলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও গতিশীল করে এর সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। রেলের কাছে আমার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রেলকে জনবান্ধব পরিবহনে পরিণত করে প্রতিটি জেলায় রেলসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
শনিবার (৯ মার্চ) রেল ভবনের সভা কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন এবং উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলের অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা জনবল সংকট। জনবলের কারণে রেলে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। সৈয়দপুরসহ রেলের সব কারখানায় লোকবল কম থাকায় উৎপাদনও আশানুরূপ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, লোকোমাস্টার, স্টেশনমাস্টারের অভাবে অনেকগুলো স্টেশন বন্ধ হয়ে আছে। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে লোকবল সংকট পূরণ করার কাজ চলমান। আশা করি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে সংকট সমাধান করতে পারবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রেলের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জনগণকেও এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। যাত্রীদের যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ করেন তিনি।
জিল্লুল হাকিম বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল জনগণের মন জয় না করে, তাদের চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলছে। এজন্য জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমরা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে পেয়েছি, তাই আমাদের সবার মনে দেশপ্রেম থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের সম্পদ রক্ষা করাও দেশপ্রেমের একটা অংশ। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী রেলের ওপর নাশকতা করছে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, রেললাইন কেটে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে, বিভিন্নভাবে দেশের সম্পদ নষ্ট করে দেশের ক্ষতি করছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক৷ নাশকতা থেকে রেলকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি।