নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় মারা যাওয়া বাকি ৬ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফেরার সময়সূচি জানিয়েছে ইতালির রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরই মধ্যে একজনের মরদেহ শুক্রবার দেশে পৌঁছেছে। সূচি অনুযায়ী সবশেষ মরদেহ ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় ইতালির রোমের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
ভূমধ্যসাগরে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যুবরণকারী ছয়জনের মধ্যে মাদারীপুরের রতন জয় তালুকদারের মরদেহ আজ (১২ ফেব্রুয়ারি)-দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট, সদর উপজেলার কামরুল হাসান বাপ্পীর মরদেহ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি( দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে, কিশোরগঞ্জে ভৈরব উপজেলার সাইফুল ইসলামের মরদেহ ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ রহমান স্বজনের মরদেহ ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর গ্রামের মো. জহিরুল মাতাব্বরের মরদেহ ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে এবং একই জেলার ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত মোল্লার মরদেহ ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে দেশে পৌঁছাবে।
ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেনের মরদেহ শুক্রবার দেশে পৌঁছালে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করে দূতাবাস। দূতাবাস জানিয়েছে, মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি মাদারীপুরে। বাকি দুজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে।
গত ২৫ জানুয়ারি ইতালির অ্যাগ্রিজেনটো শহরের প্রসিকিউটর লুইগি প্যাট্রোনাজ্জিও এক বিবৃতিতে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ইতালির ল্যাম্পেদুসা যাওয়ার পথে নৌকায় ঠান্ডায় (হাইপোথার্মিয়া) অন্তত সাত বাংলাদেশি অভিবাসী মারা যাওয়ার তথ্য জানান।
