পপুলার২৪নিউজ ডেস্ক:
টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার ঠিক না থাকা নিয়ে আভাসে-ইঙ্গিতে মাঝে মাঝেই কথা বলেছেন ক্রিকেটাররা। এবার ইমরুল কায়েস স্পষ্ট করেই বললেন, ব্যাটিং অর্ডার ঠিক না থাকলে সবারই সমস্যা হয়। তামিম ইকবালের ইনিংস শুরু করা অনেকদিন ধরেই যেমন নিশ্চিত, তিনে মুমিনুল হকের জায়গাও তেমনি পাকা ভাবা হচ্ছিল। তবে তরুণ বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান জায়গা পাননি শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বোয় বাংলাদেশের শেষ টেস্টে। সেই ম্যাচে তার জায়গায় তিনে ব্যাট করেন ইমরুল, যিনি মূলত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের বর্তমান দলটির খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। শেষ টেস্টের দলেই ছিলেন না অভিজ্ঞ এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে পড়েছেন সাব্বির রহমানও। মাত্র ছয় টেস্টেই খেলেছেন চার থেকে আট- এই পাঁচটি পজিশনে। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদেরও আছে চার থেকে আটে খেলার অভিজ্ঞতা।
মঙ্গলবার মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ইমরুল কথা বলেন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। ‘ব্যাটিং অর্ডার ঠিক না থাকা সবার জন্য সমস্যা। আপনি অফিসে গিয়ে যদি দেখেন, আপনার ডেস্ক পরিবর্তন হয়ে অন্য জায়গায় গেছে তখন কাজ করতে অস্বস্তি লাগবে। শুধু ক্রিকেট খেলায় নয়, ব্যাপারটা সবার জীবনে প্রভাব ফেলে।’
ইমরুলের টেস্ট অভিষেক হয়েছে ২০০৮ সালে, বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছে তারও দুই বছর আগে। প্রথমবারের মতো তাদের বিপক্ষে খেলার জন্য উন্মুখ ইমরুল, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট খেলতে পারা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য অনেক বড় সুযোগ। চেষ্টা থাকবে দল হিসেবে খেলার। ফলাফল আশা করবে সবাই।’
বরাবরের মতোই ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই ইমরুলের। আপাতত তার মনোযোগ আসন্ন কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দিকে। ঘাম ঝরানো পরিশ্রমে নিজেকে তৈরি রাখতে চান তিনি, ‘আমি মনে করি, ক্যাম্পটা ফিটনেসের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় তিন সপ্তাহের মতো কাজ করতে পারব। ফিটনেস ঠিক রাখা আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে।’
দেশের মাটিতে নিজেদের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে বেন স্টোকস, ক্রিস ওকসদের রিভার্স সুইংয়ের জবাব জানা ছিল না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেও একই পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে স্বাগতিকদের। তবে এ নিয়ে কোনো দুর্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ইমরুল। বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক না থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসনরা তুলতে পারেন গতির ঝড়। তবে প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ।
ইমরুল জানান, তাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ নিজেদের সেরাটা দেয়ার দিকেই, ‘আন্তর্জাতিক সব দলেরই একটা ভালো পেস বোলিং ইউনিট থাকে, অস্ট্রেলিয়ারও আছে। কাদের কেমন পেস বোলিং আক্রমণ- এখন এটা নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ এখন পেস বল ভালো খেলে এবং সবাই ভালোভাবেই সামলায়।’
