নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আর্থিক ব্যবস্থাপনা বাজেট সহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারে ১৪ দশমিক ২ কোটি ডলার ইউরো অনুদান সহায়তা দিয়েছে ইরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রতি ইউরো সমান ৯৪ টাকা ধরে বাংলাদেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা।
বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজ তেরিংক। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্বায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে অর্থায়নের মধ্য দিয়ে ইইউ দারিদ্র নিরসন ও বৈষম্য হ্রাসের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পূর্তি ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে। ইইউ অর্থায়নকৃত এ কর্মসূচি সরকারি আর্থিক ব্যবস্থানা ও জাতীয় সামাজিক নিরাপত্বা সংস্কার কৌশল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।
ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার সব সময় সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্বা খাতে ইইউ দীর্ঘ মেয়াদি সমর্থনকে স্বীকার করে। আমরা উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বদ্ধপরিকর।’
ইআরডি সচিব আরো বলেন, সঠিক সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সকল প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সব সময় মনিটারিং করি।ইইউ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের পাশে আছে। সব থেকে বড় কথা ইইউ আমাদের অনুদান দিয়ে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।’
রেন্সজ তেরিংক বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্বায় ইইউ সহযোগিতার মৌলিক ক্ষেত্রগুলো প্রতিনিধিত্ব করে। ৮ম পঞ্চবার্ষিকি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ খাতগুলো অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত। ইইউ সহায়তা এক্ষেত্রে সিস্টেম শক্তিশালীকরণ ও নীতি উন্নয়নের মূল উপাদানগুলিকে মোকাবেলা করবে। এই সহায়তার মূল লক্ষ্য হবে অভ্যান্তরীণ সম্পদ আহরণ, অভ্যান্তরীণ জবাবদিহিতা জোরদারকরণ ও সামাজিক নিরাপত্বার উন্নয়ন।’
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং নতুন সামর্থ অর্জন করতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়টিও অনেকটা এ প্রতিবন্ধকতাসমূহ মোকাবেলার উপর নির্ভর করে। সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক নিরাপত্বা এক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত।
১ কোটি ইউরো বাজেট সহায়তায় ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে ১৩ দশমিক ২ কোটি ইউরো সামাজিক নিরাপত্বায় ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে নারী ও শিশুদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। উভয় কর্মসূচি চলতি সময় থেকে ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
